মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥ আর কতো দরিদ্র হলে একটি নতুন স্বপ্নের ঠিকানা হবে বৃদ্ধ ফুল বানু বিবির। এমনই আকুতি যেন তার হতাশা ভরা রুগ্ন হৃদয়ে। তবে অবয়বে রয়েছে প্রশান্তির কিছুটা ছাঁপ। ফুল বানু বিবি (৮৫) বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ গ্রামের মৃত ওয়াজেদ শরীফের স্ত্রী। জীবন সংগ্রামী এই মা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অশ্রু ভেজা আখিতে অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই বললেন শুনেছি শেখের বেটি অসহায় মানুষকে নতুন ঘর দেয়। কই আমরাতো রোদে পুড়ি আর বৃষ্টিতে ভিজি। কেউতো খোঁজ নিলোনা।
বানারীপাড়া প্রেসক্লাব থেকে সরজমিনে গেলে দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের জম্বদীপ এলাকার বজলুর মরহুম রহমানের ইটের ভাটা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন কবলিত তীরে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠির পুরাতন সড়কের পাশে ফুল বানু তার অসুস্থ ছেলে চান শরীফ (৬০) কে নিয়ে বাঁশ খুটি ও হোগলের বেড়া ঘেরা কোন রকম টিনের ছাউনের নিচে বসবাস করছেন।
ফুল বানুর ঘরে ঢুকে দেখা যায় কয়েকটি কাঠ দিয়ে তৈরি একটি ছোট্ট ঘুমানোর চকি (খাট) তার উপর রয়েছে একটা পাটি,একটা পুরনো কাঁথা, কিছু ব্যবহার অনুপযোগী কাপড-চাপর, আর রান্না করার বাসনপত্র। নেই কোন আসবাবপত্র। তবে শীতের মৌসূমে কম্বল, করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপহার এবং ইউনিয়ন পরিষদের সুবিধাভোগী বলে জানান তিনি।
ফুল বানু বলেন, নদী তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। নিজের আপনজন বলতে একটি মাত্র ছেলেই রয়েছে। ছেলেটা অসুস্থ হওয়ায় ঠিক মতো কাজকর্ম করতে পারেনা। পুত্রবধু চলেগেছে। বর্তমানে বেশি কষ্টে আছি। ঘরটা ভেঙে গেছে, এখন আবার শীত আসছে। জানিনা কিভাবে থাকবো। শুনেছি সরকার টিন দেয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেক বার বলেছি ঘরের জন্য অল্প কিছু টিনের ব্যবস্থা করে দিন। তবে কেউই এগিয়ে আসেননি। সরজমিন থাকাকালীন এলাকার কয়েকজন বললেন, আর কতো দরিদ্র হলে ফুল বানু একটি সরকারি ঘর পাবেন।
Leave a Reply