রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সারা দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, যা জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ জন।
এ সময় মোট ৬২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ৩৬টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ফলে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শনাক্তের হার যদি ৫ শতাংশের বেশি হয়, তা হলে তা সতর্কতার পর্যায়ে পড়ে এবং তখনই স্বাস্থ্যবিধি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজন হয়।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছেন, যিনি ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমার মধ্যে পড়েন। বাকি চারজনের বয়স ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে। মৃত্যুস্থান অনুযায়ী একজন সরকারি হাসপাতালে এবং চারজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, করোনা চিকিৎসা এখনো সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে এবং রোগীরা পূর্বের মতোই চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। এতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভাইরাসটির সক্রিয়তা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ঢাকা বিভাগের, তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫১৫ জনে। চলতি বছরেই মারা গেছেন ১৬ জন। এটি চলমান সময়ের সংক্রমণের একটি নতুন ধারা নির্দেশ করছে। মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৮ জন।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বর্ষাকাল ও ঠান্ডাজনিত সাধারণ অসুস্থতা করোনার প্রকোপ আড়াল করে ফেলছে, ফলে সংক্রমণ শনাক্তে বিলম্ব হচ্ছে। এতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে তারা সবাইকে আবারও স্বাস্থ্যবিধি মানার, মাস্ক পরিধানের এবং প্রয়োজনে টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply