সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ইরানের সামরিক সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, ইসরায়েল ইরানের ছোড়া ৬৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বেশিরভাগই মাঝপথে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তবুও, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করলে অন্তত আটজন নিহত হন।
আইডিএফ আরও জানায়, ইরান পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েলের দিকে আরও দ্বিগুণ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার, কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী আগেভাগেই হামলা চালিয়ে ইরানের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র অবস্থান ধ্বংস করে দেয়। এই হামলায় ইস্পাহান শহরের শতাধিক সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন একযোগে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম, কন্ট্রোল সেন্টার এবং সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে আঘাত হানে।
এফি ডেফরিন আরও বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ইরানের ১২০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছি, যা তাদের মোট সক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশ।” এই বিবৃতি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যদিও ইরান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে তা কেবল ইসরায়েল-ইরান নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে দুই দেশের শক্ত অবস্থান, প্রতিশোধমূলক হামলা এবং সামরিক আক্রমণ বিশ্বশান্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক এই ঘোষণা সংঘাতকে এক নতুন স্তরে নিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো—এই উত্তেজনার শেষ কোথায়, এবং বিশ্ব কতটা প্রস্তুত এমন সম্ভাব্য যুদ্ধের অভিঘাত মোকাবিলায়।
Leave a Reply