মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য খুব শিগগিরই একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হবে। তিনি বলেন, এই আইনটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে জনগণের সামনে আসবে। সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করতে সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রফেসর ইউনূস এর আগে থেকেই বলেছিলেন, পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশের জনগণের টাকা এবং তা ফিরিয়ে আনা সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এরই ধারাবাহিকতায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
এছাড়াও, শফিকুল আলম জানান, দেশের অর্থ পাচার ফেরত আনার বিষয়ে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে হয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়া চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ২০০টি ল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। চূড়ান্তভাবে প্রায় ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্য এবং এটি যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে।” তিনি আরও জানান, প্রতি মাসে এই বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং ঈদের পর আরেকটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
একইভাবে, শফিকুল আলম বলেন, পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যানও অংশ নিয়ে বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করতে যান এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে, যা সম্ভবত মানি লন্ডারিংয়ের অংশ হতে পারে।
এই প্রচেষ্টা আরও ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কাজ চলছে এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
Leave a Reply