শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে গ্রেফতারকৃত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়ার দাবিতে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসা এবং নলছিটি জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষার্থীদের পক্ষ হতে ৩১শে জুলাই ইস্যুকৃত পৃথক বিবৃতি পত্র পহেলা আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পরপরই বিষয়টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম এবং প্রশাসনের নজরে আসে।
পৃথক তিনটি কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দেয়া তিনটি লিখিত বিবৃতির কপিতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা ২০২৪ ব্যাচ এর এইচএসসি/আলিম পরীক্ষার্থীরা এই মর্মে বিবৃতি দিচ্ছি যে, যতদিন পর্যন্ত সকল গ্রেফতারকৃত এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অন্যান্যদের মুক্তি দেয়া না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ঝালকাঠির কোনও পরীক্ষার্থী এইচএসসি/আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না।’
বিবৃতির সত্যতার কথা স্বীকার করে নলছিটি জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. রিমন মোল্লা জানায়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যেসকল পরীক্ষার্থী গ্রেফতার হয়েছে তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবো না।’
অন্যদিকে গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, ‘গ্রেফতার সকল পরীক্ষার্থীদেরকে যতদিন মুক্তি দেয়া না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না।’
ঝালকাঠির সর্ববৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এনএস কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে এবং অধ্যক্ষের নাম এবং মোবাইল নম্বর রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান (অধ্যক্ষ) মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। কেউ হয়তো মাদ্রাসার প্যাড ছাপিয়ে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলিম পরীক্ষার্থীরা বর্তমানে যার যার বাড়িতে রয়েছে। মাদ্রাসা হোস্টেলে বর্তমানে কেউ নেই।’
ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আসিকুর রহমান শাওন বলেন, ‘এই ঘোষণাটি গুজব। যারা ফেসবুকে পোষ্ট করেছে তারা কেউ এইচএসসি পরীক্ষার্থী নয়।’
Leave a Reply