শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) মামলায় গত ৫ বছরে অন্তত ৪৫১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৯৭ জন সাংবাদিক। যার মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন ৫০ জন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) একটি ওয়েবিনারে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫ বছরের চিত্র নিয়ে কঠিন পরীক্ষা’ নামে একটি গবেষণা প্রকাশ করে। ওই গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ গবেষণার প্রধান গবেষক ছিলেন। ওয়েবিনারে তিনি গবেষণার এসব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
গবেষণায় ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১ হাজার ৪৩৬টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সংবাদপত্র, আদালতের নথি, আইনজীবী, ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ গবেষণা হয়েছে। এগুলোকে এ গবেষণার উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৪৩৬টি মামলা হয়েছে এবং কমপক্ষে ৪৫২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হয়েছেন রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক। আর অভিযোগকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন রাজনীতির সঙ্গে যুক্তরা শীর্ষে আছেন। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০২১ সালে।
মামলার শিকার ৪৫১ জনের মধ্যে ২০৯ জন সাংবাদিক জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত এবং ১৯৭ জন স্থানীয় সাংবাদিক। এরমধ্যে সংবাদ লেখার কারণে ২৫৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২০ সাল থেকে ৪৯৫ জন রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া অন্তত ২৮ জন অপ্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ২১.৭৫% রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর অর্থ হলো নির্বাচনের আগে অনেক রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ফেসবুক পোস্টের কারণে মোট ৯০৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ২৩২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আলোচিত “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮” পরিবর্তন করে “সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩” নামে প্রতিস্থাপিত হলেও ডিজিটাল মামলায় গ্রেপ্তার অনেকেই এখনো কারাগারে আছেন।
Leave a Reply