মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মেঘনা নদীতে বাবা-ছেলেকে নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনার ৯ দিন পর আব্দুল রাজ্জাক সরদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি মাছঘাট পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে ২৮ জানুয়ারি দুপুরে মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্ট থেকে কোস্ট গার্ড আব্দুল রাজ্জাক সরদারের ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে জেলেরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবগত করে। এরপর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাকের পরিবার মরদেহটি শনাক্ত করেছে।
ঘটনার ৯ দিন পর তার মরদেহ পাওয়া যায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গতকাল দুপুরে মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্ট থেকে ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।
গত ২১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙারি মালামালসহ সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন বাবা-ছেলে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাঁচজন শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় ওপরে উঠে আসতে পারলেও রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ ইঞ্জিনরুমে থাকায় তারা বেরোতে পারেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ট্রলারটির মালিক ছিলেন ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ডুবে যাওয়ার সময় তার ট্রলারে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়। বিআইডব্লিউটিএ ট্রলারটি উদ্ধার করার পর তাতে বাবা-ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply