শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধের মধ্যে চলমান ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ চুক্তির বিষয়ে ‘‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’’ পৌঁছেছে বলে মধ্যস্থতাকারী কাতার ভিত্তি সংবাদ সংস্থা কাতার আলজাজিরা কাতার সরকারের একাধিক মাধ্যম থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অনুমান করা হচ্ছে, রাতেই অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যেই হামাস-ইসরায়েল চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, ‘‘আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছি।’’ সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ২৪০ জিম্মিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের সাথে হামাসের মাঝে চুক্তির এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চার জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। চারজনিই কাতারের মধ্যস্থতায় মুক্তি পেয়েছে। এর আগে হামাসের রাজনৈতিক উইং এর প্রধান ইসমাইল হানিয়াও খুব জলদি একটি যুদ্ধ বিরতির আভাস দেন।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি হাশেম আহেলবারা বলেছেন, কাতার সরকারের কাছে চুক্তির বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে হামাস। তাদের এই তৎপরতার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে হামাস-ইসরায়েল। অনেকের ধারণা আজ (মঙ্গলবার) রাতে অথবা আগামীকাল ভোরে চুক্তিটি ঘোষণা করা হতে পারে। চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা হামাসের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় যারা মুক্তি পাবেন, তাদের কীভাবে ইসরায়েলে পৌঁছানো হবে, সেই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছেন।
হামাস বলেছে, যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, প্রথমে তার একটি তালিকা প্রকাশ করবে তারা। তবে বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের একই সময়ে মুক্তি চায় হামাস। আলজাজিরার প্রতিনিধি বলেছেন, নির্দিষ্ট এই বিষয়ে উভয়পক্ষ কীভাবে কাজ করবে, তা আমরা এখনও জানতে পারি নাই।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর, ওই দিন স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরায়েলে ঢুকে ১৪০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে হামাস। এই হামলার পর গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।
Leave a Reply