শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আমতলী ও তালতলীতে মিধিলি তান্ডব ও ভারী বর্ষনে ১১৬২ হেক্টর আধাপাকা আমন ধান পানিতে নেতিয়ে পরায় এবং রবি ও শীতকালিন শাকসব্জিসহ প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ফসল হানির আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। উপজেলায় মিধিলার তান্ডবে ১১টি কাঁচা ঘর বিধস্ত ও অর্ধশতাধিক অংশিক ক্ষতিগ্রস্তসহ সহা¯্রাধিক গাছপালা উপরে পড়েছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর আমতলী উপজেলায় ২৩হাজার ৩শ’ ৭১ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝরো বাতাসে ধানের গাছ পানিতে নেতিয়ে পরায় ২৩৩ হেক্টর আমন ফসল, ১৯০ হেক্টর শীতকালিন শাকসব্জির মধ্যে ৭৬ হেক্টর, ১৫০০ হেক্টর খেসারি ডালের মধ্যে ৪৫০ হেক্টর এবং ১৫৬ হেক্টর পানের বরজের মধ্যে ৭হেক্টর নষ্টের আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ। আমতলী উপজেলায় বিভিন্ন ফসল মিলে চাষ হওয়া ২৫ হাজার ২শ’ ১৭ হেক্টর ফসলের মধ্যে ৭৬৬ হেক্টর ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় সোয়া কোটি টাকা।
তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর তালতলী উপজেলায় ১৬ হাজার ১শ’ ৯১ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মিধিলির প্রভাবে বাতাস ও বৃষ্টির পানি জমে ২৫০ হেক্টর আমন, ৪৪ হেক্টর শাকসব্জির মধ্যে ৬ হেক্টর, ২০০শ’ হেক্টর খেসারির মধ্যে ১২৫ হেক্টর, ১৫ হেক্টর সরিষার মধ্যে ১৫ হেক্টর সরিষা সম্পূর্ন নষ্ট হয়েছে। উপজেলায় ১৬হাজার ৪শ’৫০ হেক্টর ফসলের মধ্যে ৩৯৬ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা।
হলদিয়ার কৃষক শানু মোল্লা জানান, বাতাসের বান্ডবে অঅধাপাকা ধান মাটিতে পরে যাওয়ায় ধান নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া বাতাষের আঘাতে শীষ আসা ফলনেরও অনেক ক্ষতি হবে। এতে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তালতলীর সওদাগার পাড়া গ্রামের কৃষক আবু মুছা জানান, ক্ষেতে বইন্যার তান্ডবে ধান মাডির সাথে মিশ্যা গ্যাছে। এতে ধান ও বৃষ্টির পানি জইম্যা থাহায় ডাইলে ও ব্যামালা ক্ষতি অইবে।
তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল জানান, মিধিলার তান্ডবে এবং ভারি বর্ষষে ৩৯৬ হেক্টর ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আধা পাকা ধান পানিতে নেতিয়ে পরায় এবং খেসারি ডাল পানিতে তলিয়ে থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বেশী। এ বিষয়ে উর্ধতন ক্ষর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে টাকায় ক্ষতির পরিমান প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা জানান, উপজেলায় ৭৬৬ হেক্টর বিভিন্ন ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষেতে পানি জমে থাকায় খেসারি ডাল সম্পূর্ন ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় সোয়া কোটি টাকা।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইন জানান, মিধিলার তান্ডবে ১১ টি খাচা ঘর বিধস্ত ও অর্ধশতাধিক আংশিক ক্ষতিগ্রস্তসহ সহা¯্রাধিক গাছপালা উপরে পড়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, মিধিলার তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি পন্য এবং কৃষকের প্রাথমিক তালিকা তৈরী করে কৃষি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে আমরা কৃষকদের সহযোগিতা করতে পারোবে আশা করি।
Leave a Reply