সাত লাখ টাকা দেনমহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন যুবক Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




সাত লাখ টাকা দেনমহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন যুবক

সাত লাখ টাকা দেনমহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন যুবক

সাত লাখ টাকা দেনমহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন যুবক




ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সাত লাখ টাকা দেনমহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন এক যুবক। গত ২১ মে ভোলা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তিনি। পরে জানাজনি হলে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে তোলাপার সৃষ্টি হয়। তাদের এক নজর দেখতে তাদের বাড়িতে ভিড় করে স্থানীয় উৎসুক জনতা।এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

 

 

আজ বুধবার (০৭ জুন) হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকার বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মুছা বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরা দুই জন হলেন চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. মিরাজ (২৩) ও একই এলাকার মৃত শাহে আলম বেপারীর স্ত্রী মোসা. সামসুন্নাহার (৪০)। এরা দুই জন সম্পর্কে দাদি-নাতি।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিরাজের আপন দাদা শাহে আলম বেপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার মিরাজের দাদার তৃতীয় স্ত্রী। কিন্তু মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর নাতি। প্রায় দেড় বছর আগে মিরাজের দাদা শাহে আলম মারা যান। এরপর থকে তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন নাতি মিরাজ। দাদি সামসুন্নহারের দেখাশোনার জন্য দাদির ঘরে যাতায়াত করতে থাকেন মিরাজ। পরে স্থানীয়রা তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন।

 

এই কারণে নাতি মিরাজ ও সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা সদরে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। পরে একই দিন নাতি ও দাদিকে কাজির মাধ্যমে আবারও বিয়ে পড়ানো হয়। পরে মিরাজ তার দাদির বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

 

 

মিরাজের বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা বিয়ের বিষয় নিয়ে বসি। পরে উভয়ের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছে।

 

 

হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকার বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মুছা জানান, দাদি-নাতির বিয়ে শরিয়তে জায়েজ নেই। মঙ্গলবার স্থানীয় আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা মিলে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। শরিয়তের হুকুমের বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে বলার পর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। পরে সবার সামনে সংসার বিচ্ছেদ করে দুই জনই নিজেদের আলাদা বাড়িতে চলে যান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD