বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন, নির্বাচনে সহিংসতা, নির্বাচন-কমিশনের দায়-দায়িত্ব এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি কথা বলেছেন । তার মতে, ইউপি নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সবার জন্যই বিব্রতকর।
বিরোধী দল ভোটের মাঠে না থাকার কারণে সরকারি দলের মধ্যে সহিংসতা হচ্ছে, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সংযত হওয়া সবার দায়। এটি সময়ের দাবি। নির্বাচনী সহিংসতা সব দলের জন্যই ক্ষতিকর।
ইউনিয়ন-পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশ থেকে ব্যাপক সহিংসতার খবর মিলছে। সহিংসতায় মানুষও মরছে। কেমন দেখছেন এবারের নির্বাচন?
আমির হোসেন আমু: সহিংসতার খবর দুঃখজনক। আমি মনে করি, দলীয় কোন্দল বা রাজনৈতিক কারণে এমন সহিংসতা ঘটছে না। মূলত ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে সহিংসতা হচ্ছে। কারণ দলীয় কোন্দল থেকে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারে। কিন্তু অনেক জায়গায় একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন। এটি ব্যক্তি কোন্দোলের ফল। মানুষ মরছে ব্যক্তিগত কারণেই। রাজনৈতিক কারণ এখানে ঠুনকো। বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগেরই। বিএনপি কার্যত নির্বাচনে নেই। তার মানে আওয়ামী লীগের একটি অংশ নিজেরাই বিরোধী দলের ভূমিকায়?
আমির হোসেন আমু: বিরোধী দল ভোটের মাঠে না থাকার কারণে সরকারি দলের মধ্যে সহিংসতা হচ্ছে, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সংযত হওয়া সবার দায়। এটি সময়ের দাবি। নির্বাচনী সহিংসতা সব দলের জন্যই ক্ষতিকর।
অভিযোগটির দায় বিরোধী দলের। তবে সাধারণ মানুষ ভোট, নির্বাচন নিয়ে অনীহা প্রকাশ করছে, এই অভিযোগের ভিত্তি নেই। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে, ভোটে অংশ নিচ্ছে বলেই কোথাও কোথাও সহিংসতার খবর মিলছে। মানুষ ভোটে না গেলে সহিংসতা করছে কারা?
প্রতীক বরাদ্দের কারণেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন একতরফা হচ্ছে এবং সরকারি দলের প্রার্থীরা একচেটিয়া সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর অন্যরা হতাশা থেকেই মারমুখি?
আমির হোসেন আমু: হতাশা থেকে সহিংসতা হয় না। নিস্তেজ মানুষেরা মারামারি করেন না। মারামারি করেন বেশি উজ্জীবিত মানুষেরা। প্রতীক পেয়ে অনেকে তাই করছেন। তবে এটা ঠিক নয়। দলীয় সিদ্ধান্ত মানলে এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। প্রশাসনের আচরণে ভোটাররা তো হতাশ। সিল মারা ব্যালট মিলছে যত্রতত্র…
আমির হোসেন আমু: প্রশাসন নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলছে না। প্রশাসন বরাবরের মতো এ নির্বাচনেও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে।
সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমেই প্রার্থী বাছাই করা হয়। যা হচ্ছে তৃণমূলের ব্যর্থতার কারণে। আমি মনে করি, ব্যর্থতা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের। তাদের আরও বিচক্ষণ হওয়া দরকার। সহিষ্ণু হওয়া দরকার। এই পরিস্থিতি সবার জন্যই বিব্রতকর। তবে দু-একটি জায়গার ঘটনা দিয়ে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করা ঠিক হবে না। সফলতাও আছে।
যে সহিংসতা হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ কি না?
আমির হোসেন আমু: কেন্দ্রের এখানে আসলে কিছু করার থাকে না। সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমেই প্রার্থী বাছাই করা হয়। যা হচ্ছে তৃণমূলের ব্যর্থতার কারণে। আমি মনে করি, ব্যর্থতা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের। তাদের আরও বিচক্ষণ হওয়া দরকার। সহিষ্ণু হওয়া দরকার। এই পরিস্থিতি সবার জন্যই বিব্রতকর। তবে দু-একটি জায়গার ঘটনা দিয়ে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করা ঠিক হবে না। সফলতাও আছে।
সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে অনীহা প্রকাশ করছে…
আমির হোসেন আমু: অভিযোগটির দায় বিরোধী দলের। তবে সাধারণ মানুষ ভোট, নির্বাচন নিয়ে অনীহা প্রকাশ করছে, এই অভিযোগের ভিত্তি নেই। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে, ভোটে অংশ নিচ্ছে বলেই কোথাও কোথাও সহিংসতার খবর মিলছে। মানুষ ভোটে না গেলে সহিংসতা করছে কারা?
এক্ষেত্রে সরকারকেও দায় দিচ্ছেন কেউ কেউ…
আমির হোসেন আমু: সরকারের দায় আছে বটে। কিন্তু গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় বিরোধী দলের ভূমিকায়। বিরোধী দল নিষ্ক্রিয় হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গণতন্ত্র সংকুচিত হয়।
এখন বিরোধী দল অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। তার মানে গণতন্ত্রও কি এখন সংকুচিত?
আমির হোসেন আমু: আমি তা বলছি না। বিরোধী দল নিষ্ক্রিয় হলেও অন্যান্য দল তো সক্রিয় হচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক দল এগিয়ে আসছে। জায়গা কখনো ফাঁকা থাকে না। গণতন্ত্র একেবারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তাও বলবো না। তবে তার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ।সুত্র,জাগো নিউজ
Leave a Reply