সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও সড়কের অবস্থা দেখে তা মনে হয় না। শহরের আওতাধীন প্রায় ২০কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। এক পলশা বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দক। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েচে। খরা মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও চলতি বর্ষায় ভোগান্তি চরমে। শহরের প্রায় ৬৫ শতাংশ সড়কের অবস্থাই এমন। সড়ক গুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ভেতরে শেরেই বাংলা সড়ক, মুসলিম পাড়া-পৌর ভবন- হোসনাবাদ সড়ক, ফুলতলা সড়ক,গোলাবাড়ি ব্রিজ-পালপাড়া সড়ক, মহিলা কালেজ- সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলামের বাসভবন সড়ক, বকুলতলা সড়ক, গার্লস স্কুল রোড সংযোগ পৌরভবন সড়ক, কাগজিরপুল-হোসনাবাদ সড়ক ও ডা: মোমেন সড়কসহ শহরের অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা। প্রায় ২০কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। বৃষ্টি হলেও পানি জমে থাকে। খানা খন্দকে ভরে গেছে সড়কগুলো। পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কগুলো যেনো মরণ ফাঁদ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পৌর বাসিন্দা মো. সোহাগ, রাকিব ও শামিম বলেন,‘ আমাদের দরকার একটু ভালো রাস্তা ঘাট। আমরা একটু শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই। বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। পৌরসভার ভিতরে বসবাস করেও যদি ভালো রাস্তা দিয়ে চলাচল না করতে পারি তাহলে পৌরসভা দিয়ে কি হবে।
পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন,‘ বাউফল পৌরসভা কাগজে কলমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও প্রথম শ্রেণির সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে পৌরবাসী বঞ্চিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও বাউফল পৌরসভায় কোন উন্নয়ন হয়নি। যা শহরের রাস্তা ঘাট দেখলেই বোঝা যায়।
সড়ক গুলোর বেহাল দশার কথা স্বীকার করে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন,‘ রাস্তা গুলো সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply