রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫শ কোটি টাকার মানহানি মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার উদ্ধোগে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সম্মুখ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলার সর্বস্তরের গণমানুষসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেতে দেখা যায়।
সাংবাদিক রেজাউল ইসলামের সঞ্চালনায় মঠবাড়িয়া মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, বাংলার জনগনের ওপর চেপে বসা ১/১১ সরকারের একক আধিপত্যকে তাদের দূর্বার লিখনীর মাধ্যমে খিড়কির দরজা দিয়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিছু সংখ্যক সাংবাদিকের অনুসন্ধানী লিখনীর ধারাবাহিকতা অব্যহত রয়েছে বিধায় দুর্নীতিবাজরা অনেকটা কোনঠাসা হয়ে আছে। যে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ক্রাইম রিপোর্টার সাঈদুর রহমান রিমন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হকের সীমাহিন দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরলে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সাংবাদিক ও কলামিষ্ট নঈম নিজাম সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫শ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন। যে মামলা অতি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে সকল গণমাধ্যম কর্মীরা দেশব্যাপী বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ব্যানারে একাট্টা হয়েছেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বুলেট, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদার,মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি আব্দুর রহমান আল নোমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুম্মান হাওলাদার, সাংবাদিক মর্তুজা প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসীর আহম্মেদ (মুন্সি), সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম তারেক, এজাজ উদ্দিন চৌধুরী, মাসুম ফরাজী, আবু জাফর, রুম্মান তালুকদার বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা।
Leave a Reply