শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পোশাক শ্রমিকদের মোবাইলে ক্ষুদে বার্তায় ১ আগস্ট কারখানায় উপস্থিত থাকার বার্তা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থারত শ্রমিকরা যে যেভাবে পারছে ছুটছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে। কঠোর লকডাউনের কারণে বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরণের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে নানা কৌশলে যাত্রীরা গন্তব্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে তো কোনো ধরণের যানবাহন না পেয়ে, পায়ে হেঁটেই সামনের দিকে এগিয়েও যাচ্ছেন।
নৌপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল থেকে লকডাউনে বন্ধ থাকা বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস টার্মিনাল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
তবে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন না থাকায় রাজধানী পর্যন্ত এত দূরের পথ কিভাবে তারা পৌঁছাবে, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচালরত পণ্যবাহি ট্রাকের পথরোধও করেন তারা।
খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল স্বাভাবিক করে।
তবে তারপরও যে যেভাবে পারছেন, ঢাকার উদ্দেশ্যে এগুচ্ছেন। পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চেপে তারা ঢাকার দিকে যাচ্ছেন।
পোশাক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ১ আগস্ট উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি আর লকডাউন উপেক্ষা করে তাদের রাজধানীমুখী হতে হচ্ছে।
মো. সোয়াইব হোসেন নামে এক পোশাক শ্রমিক জানান, কোনো গণপরিবহন না থাকায় দ্বিগুণ খরচে ভোলা থেকে বরিশালে এসেছেন। এখন এখানে এসে কোনো যানবাহন না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি সুরাহা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।
বরিশাল মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপ্লব বড়–য়া জানান, সকাল থেকে হেটেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ পোশাকশ্রমিকরা নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে জড়ো হন। এসময় সেখানে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নিলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মহানগরীর আওতাধীন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার অসংখ্য শ্রমিক রাজধানীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদুল আজহার সময় ৮ দিন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায়, পোশাক শ্রমিকরা ওই সময়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেই পোশাক শ্রমিকরাই ঢাকায় পৌঁছা নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
Leave a Reply