শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
রিয়াজ মাহামুদ আজিম :মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। বরিশাল বিভাগের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি অভিযান পরিচালনা করেছে বরিশাল জেলা। আর জেল-জরিমানার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে দ্বীপজেলা ভোলা। এ বছর ৯৬১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দ- দিয়েছেন আদালত। বরিশাল জেলা সহ বিভাগের বাকি ৫ জেলায় মৎস্য অফিসের নেতৃত্বে চলেছে টানা ২২ দিনের অভিযান। যেখানে মৎস অধিদপ্তরকে সহায়তা করেছে কোষ্টগার্ড, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি ৬৭৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে বরিশাল জেলা। আর জেল-জরিমানার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা। যেখানে ৩১৮ টি অভিযান, ১৯৪ টি মোবাইল কোর্ট ও ২৫৪ টি মামলার মাধ্যমে ৪৩২ জনকে জেল ও ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।চলতি বছরের হিসেব অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে মোবাইল কোর্ট, আটক, জেল-জরিমানার পরিমান বাড়লেও বাড়েনি অভিযানের সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে জাল ও ইলিশ জব্দের পরিমান। গত বছর বরিশাল বিভাগে মোট দন্ডপ্রাপ্ত জেলের সংখ্যা ছিলো ৫৩৩ জন, যা এবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬১ জন। পাশাপাশি গত বছরের চেয়ে এ বছর ৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা বেশি জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আবার জব্দের তালিকায় গত বছরের থেকে ২ মেট্রিকটন ইলিশ কম জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২২ দিনের এ অভিযানে গতবছরের থেকে ১০ দশমিক ৬১ লাখ মিটার কম অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এ বছর জব্দকৃত অবৈধ জালের পরিমান ছিলো ২৯ দশমিক ৭০ লাখ মিটার যার পরিমান গত বছর ছিলো ৪০ দশমিক ৩১ লাখ মিটার। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৯২ টি অভিযান কম হলেও ১৮ টি মোবাইল কোর্ট ও ২৩০ টি মামলা বেশি দায়ের করা হয়েছে। গত বছর অভিযান হয়েছিলো ২ হাজার ৯২টি, মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছিলো ৯৬৮টি ও মামলা হয়েছিলো ৭০৫টি। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, নদীতে মাছ বেশি থাকায় অসাধু জেলেরা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ও থেমে থাকে না। এবছর মৎস্য বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আইন অমান্যকারীদের আটক করেছে। মৎস অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, জেলে ও সাধারণ মানুষ এ বিগত সময়ের থেকে অনেকটাই সচেতন। তাদের সাথে সাথে মৎস্য বিভাগের প্রতিটি সদস্য ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে নদী-সাগর পাহারা দিয়েছে। যার মধ্য দিয়ে জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সর্বোচ্চ নজরদারি রাখা হয়েছে, কাউকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার জাটকা নিধন বন্ধে কঠোর নজরদারী রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার বন্ধের পাশাপাশি জাটকা নিধন বন্ধ না করা গেলে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে না। তাই ইলিশের পরিমান বাড়াতে হলে জাটকা নিধন বন্ধ করতেই হবে।
Leave a Reply