রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে ৮-১০ জনের কিশোর গ্যাং সদস্য লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে টাকা ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খান জানান, গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধার কাছে পাওনা ৪১ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে হাসান, রাকিব, মেহেদী, জাকার, তৌকির ও রবিউলসহ ৮-১০ জনের কিশোর গ্যাংরা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতারী পিটিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ ৭৬ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খান মুঠোফোনে বলেন, কিশোর গ্যাং লিডার ও নামধারী ছাত্রলীগ নেতা ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে ৮-১০ জনের কিশোর গ্যাং আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, আমার ধারণা, বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতাদের নামে পোস্ট দেওয়ার কারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হাইব্রিড নেতা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমানের নির্দেশে ও তার প্রত্যক্ষ মদদে আমার ওপর এ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান তার ওপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান একজন চিহ্নিত নেশাগ্রস্ত ও মাতাল। শুনেছি মদ খেয়ে মাতলামি করতে গিয়ে বাচ্চাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
আমতলী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান আমার কাছে পাওনা ৪১ হাজার টাকা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছিল। ওই সময় শুনেছি তিনি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply