আমতলীতে আ’লীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




আমতলীতে আ’লীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

আমতলীতে আ’লীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

আমতলীতে আ’লীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন




আমতলী প্রতিনিধি॥ আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

 

এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এতে অন্তত পক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আমতলীতে এ ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ছরোয়ার ফোরকানকে ঋণ খেলাপির অভিযোগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনা যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বিচারক আল মামুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজুকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ সময় আদালত নির্বাচন কমিশনকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে গেজেটভুক্ত করার আদেশ দেন।

 

 

এ আদেশের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকান রোববার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।

 

 

আদালতের বিচারক মো: হাসানুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গেজেটভুক্তির রায় স্থগিত করে দেন। রায় স্থগিত হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা উচ্ছাসিত হয়। সোমবার তার সমর্থকরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে ফোরকানকে আমতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনার আয়োজন করে। ওই সংবর্ধনায় কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেয়।

 

 

এ দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের এ সংবর্ধনাকে প্রতিহত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে অন্তত পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক এসে উপজেলা কম্পাউন্ডের মধ্যে অবস্থান নেয় এমন দাবি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরকানের। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা ইউএনও অফিসের সামনে এবং সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়রের সমর্থকরা স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে অবস্থান নেয়।

 

এ সময় দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ উভয়পক্ষকে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের মধ্যে থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পৌর শহরের সদর রোডে ও পৌরসভার সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের ওপর হামলা এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে সাতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও তার পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

 

এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মো: জাহাঙ্গীর (২৫)ও জহিরুল মৃধা নামের দু’জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘আমার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে পণ্ড করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান লোকজন নিয়ে এসে গণ্ডগোল করেছে। তার তো এখানে কোনো কাজ নেই।’

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমার সমর্থকদের ধরে ধরে মতিয়ার রহমানের লোকজন সাতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও পাঁচ সমর্থককে মারধর করেছে।’

 

 

আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান সংবর্ধনা পণ্ড করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পটুয়াখালী থেকে লোকজন এনে গণ্ডগোল করতে চেয়েছিল। তাই আমি পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।’

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমি উভয়পক্ষ যাতে গণ্ডগোল করতে না পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে কাজ করেছি।’

 

 

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

 

বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সজাগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি রক্ষায় শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD