বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ একাধিক ব্যক্তির ধর্ষণের শিকার হয়ে স্কুলছাত্রী জন্ম দিলেন ফুটফুটে এক শিশু। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, কে তার বাবা? নানা থেকে শুরু করে অনেকরেই ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে। সবশেষ জানা গেল পরিবহন শ্রমিক রাকিব স্কুলছাত্রীর সন্তানের বাবা।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। রাকিব উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। তবে আদালতের আদেশে ওই স্কুলছাত্রী ও তার সন্তান এবং ধর্ষককে ঢাকা সিআইডির সদর দফতরে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা জানান, স্কুলছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলাটি প্রায় দুই বছরের তদন্ত শেষে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। মামলায় রাকিব হোসেন ও একই এলাকার অফফের আলীর ছেলে বকুল হোসেনেকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রী কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতো। ওই সময় পার্শ্ববর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের বকুল হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে।
এ সময় সময় মেয়ের নানা হাতেনাতে ধরে ফেলেন নানা। অভিযোগ উঠে ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেয়ের নানা রশিদ মন্ডল ও তার নাতি বকুল হোসেনকে আসামি করা হয়। স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়।
অন্যদিকে আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ সন্তানসহ স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফহোম) রাখেন। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি রশিদ মন্ডল ও বকুল হোসেনকে গ্রেফতার করে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় শনাক্ত করতে রশিদ ও বকুলের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। কিন্ত তাদের ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় মেলেনি।
পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে স্কুলছাত্রী রাকিব হোসেন নামের এক যুবকের নাম প্রকাশ করেন। গত ৭ আগস্ট নওগাঁ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতের আদেশে ৩ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রী ও তার পুত্রসন্তান এবং রাকিবকে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় শিশুর সঙ্গে রাকিবের ডিএনএ মিলে যায়। মামলায় অভিযুক্ত আসামি রাকিব ও বকুল বগুড়া কারাগারে আটক রয়েছে। ডিএনএন টেস্ট ও তদন্তে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় এ মামলা থেকে স্কুলছাত্রীর নানা রশিদ মন্ডলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাকিব প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এই মামলার আসামি রাকিব ও বকুল বর্তমানে বগুড়া কারাগারে আটক।
Leave a Reply