রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি॥ ভোলার লালমোহনের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ।
গত মঙ্গলবার বিকালে মামলাটি বালামভুক্ত করার পাশপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. এবিএম মাহমুদুল হক ।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, নজরুল ইসলাম ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ( এলজিইডি) ১২টি রেজিস্ট্রি স্কুল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন। ত্রান মন্ত্রনালয়ের ৪০ দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনা-বেক্ষণ প্রকল্পের ৪ হাজার টন চাল নিয়মবহির্ভূতভাবে ফাইল আটকে রেখে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। মাটি ভরাট উন্নয়ন কাজের নামে ৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। এলজিইডির অধীন ইউনিয়ন পরিষদ নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।
উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মান প্রকল্প থেকে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। স্কুলের আসবাবপত্র ক্রয় প্রকল্পের ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। স্কুল সম্প্রসারণ প্রকল্পের ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুলের বিরুদ্ধে। এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
অপরদিকে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় শাহবাজপুর কলেজে কর্মরত দেখিয়ে বেতনভাতা উত্তোলন করেন।
এ ছাড়া তিনি দুইজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুই জন প্রকল্ড বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জিন্মি করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় নজরুল ইসলামকে আসামী করার পাশাপাশি আসামী করা হয়েছে নজরুলের দুই ছেলে নুরুল ইসলাম প্রিন্ম ও হেদায়েত ইসলাম ও স্ত্রী আফিসা বেগমকে। মামলাটি স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে দায়ের করা হয়।
অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন জানান, যেহেতু স্ত্রী ও ছেলেদের ব্যাংক হিসেবে আত্মসাৎকৃত টাকা জমা রাখা হয়ে ছিল এবং তাদের নামে সম্পত্তি ক্রয় করা হয়। তাই তাদেরও আসামী করা হয়েছে।
অপরদিকে নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে প্রিন্স জানান, এটা সম্পূর্ন বানোয়াট । তাদের হয়রানী করতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply