সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
পাথরঘাটা প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটায় একযুগ ধরে নেই চৌকি আদালত ভবন। ঝুকি নিয়ে ভাড়া করা ভাংঙ্গাচুড়া স্কুল ভবনের কক্ষে চলছে বিচারকার্য।
বিচারকসহ আইনজীবীরা যে কোন সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। ফলে ঝড়-বাদলের দিনে বিচার প্রার্থীরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। জরুরী ভিত্তিতে একটি আদালত ভবনের দাবী জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ভাংঙাচুরা ভবনে বিচার কার্য চলাকালে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে বলে জানান তারা।
পাথরঘাটার সিনিয়র এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা নদীবেষ্টিত এলাকা। ১৯৮৫ সালে এরশাদ সরকারের আমলে সারাদেশে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট আদালত গঠন করা হয়।
এই নির্বাহী বিচার আদালত আইন মন্ত্রনালয়ের আওতায় জুডিশিয়াল বিভাগে পৃথক করার পর অনেক উপজেলা থেকে কিছু আদালত উঠিয়ে নেয়া হলেও পাথরঘাটা জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতটি জরুরী হিসাবে আদালতটি চালু রাখা হয়েছে।
প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের মধ্যে এই আদালতের নিজেস্ব ভবন ছিল। ২০০৮ সালে ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সরকার। তারপরও কয়েক বছর বিচারকার্য পরিচালনা করা হয় ওই পরিত্যক্ত ভবনে। পরে ২০১৪ সালে মার্চ মাসে পাথরঘাটা সরকারি কেএম পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি স্কুল ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে আদালতের কার্যক্রম চলছে। চলমান স্কুল ভবন আদালতের ছাদের পাঁলেস্তারা খসে পড়ায় ঝুকি নিয়ে চলছে বিচারকার্য।
পাথরঘাটা আইনজীবী অফিসের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান জানান, বর্তমান ভাড়া করা ভবনটিতে তাদের বসার মতো একটি কক্ষ নেই। চেম্বার থেকে এসে দাড়িয়ে কোর্ট করে তারা আবার চেম্বারে চলে যেতে হয়, নেই কোন শৌচাগারের ব্যাবস্থা।
তাদের বিচারপ্রার্থীরা এসে স্কুলের মাঠে দাড়িয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টির সিজনে ছাদ থেকে পানি পড়ে অফিসের দরকারি কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। বিচারকের আবাস স্থল কোর্ট থেকে এক কিলোমিটার দুরে একটি ভাড়া করা বাসভবন। সেখান থেকে কোর্টে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক নিরাপত্তার অভাব। তিনি জানান, বিচারকের বাসভবনসহ আদালতের অফিস ভবন এখন অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
পাথরঘাটা সরকারি কেএম পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আলম জানান, পাথরঘাটা জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতের কাছে প্রথমে এক বছরের চুক্তিতে আমাদের স্কুলের একটি ভবন ভাড়া দিয়েছিলাম।
এতে করে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। কোর্ট চলাকালিন সময় প্রতিদিন পুলিশ আসামীদের হাতকড়া দিয়ে বেধে কোর্টে নিয়ে আসে। এসময় স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দেখে ভয় পাচ্ছে। এতে করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়ছে বলে জানান।
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন জানান, পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট কোর্টের একটি ভবন বরাদ্ধের জন্য আমি চেষ্টা করছি। একনেকে পাশ হলেই ভবনটি নির্মান করা হবে।
Leave a Reply