বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
গলাচিপা প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজলের চরশিবা গ্রামে লাঠিয়ালদের প্রভাবে ভিটে ছাড়ার উপক্রম হয়েছে ফারুক খানসহ দুই পরিবারের। জমির কাগজপত্র সঠিক থাকলেও প্রতিনিয়ত হামলা-হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে কালাম মাঝি ও নাজিমের নেতৃত্বে এক দল লাঠিয়াল-জোতদার বাহিনী ফারুক খানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট কালাম মাঝি, নাজিম, আব্দুল লতিফ খানসহ ১৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২ আগস্ট বাড়ি দখলের জন্য কালাম মাঝি, তার ছেলে নাজিম, রশিদের ছেলে আব্দুর লতিফসহ ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ লঠিয়াল দল ফারুক খানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় বাড়িতে থাকা ফারুক খানের চাচা তোফাজ্জেল হোসেন খানকে (৫০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে মারধরের পাশাপাশি সঙ্গে থাকা দোকানের এক লাখ ২০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। যাওয়ার সময় ফারুক খান ও তার চাচা তোফাজ্জেলকে পরিবারসহ এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় লাঠিয়ালরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ফারুক খান বলেন, ‘আমরা ৪৫ বছর আগে চরশিবা গ্রামে আব্দুর রশিদের জমি কিনে বসবাস করে আসছি। কিন্তু জমিদাতা আব্দুর রশিদ মারা যাওয়ার পর তার ভাইয়ের ছেলেরা হঠাৎ করে আমার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে গেলেও কোন মিমাংসা হয়নি। উল্টো এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।’
অভিযুক্ত আব্দুল হক কামাল মাঝি বলেন, ‘আমি আমার চাচার জমি লইয়া মামলা করছি। আমরা কোনো নিদাবী দেই নাই। আমাগো নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’ চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল বলেন, ‘কালাম মাঝিদের কাগজের কোনো বৈধতা নেই। এ ব্যাপারে তাদের একাধিকবার ডাকা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গলাচিপা থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্তরা জোর করে বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে এখনো তদন্ত চলছে।’ গলাচিপা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা তদন্তের পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply