শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
সাগরে কয়েক দিন ধরে জেলেদের জালে খুব একটা ইলিশ ধরা পড়ছে না। ফলে দামও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া প্রজনন মৌসুমের কারণে ১৪ অক্টোবর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে এক ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তবে আগামী পূর্ণিমার জোয়ারে পর্যাপ্ত ইলিশ মিলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে চড়া মূল্যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আলীপুর ও মহিপুরের শিববাড়িয়া নদীতে জেলেদের অনেক ট্রলার পড়ে রয়েছে। ‘এফবি মায়ের দোয়া’ ট্রলারের জেলে ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘সাগরে মাছ নেই। গত এক সপ্তাহে মাত্র দুই মণ মাছ পেয়েছি। তাই ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে এসেছি।’
ট্রলার মালিক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘জেলেদের খাওয়া ও ট্রলারের জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
মহিপুর মৎস্যবন্দরের ‘মেসার্স ফয়সাল ফিশ’-এর মালিক মো. ফজলুর রহমান গাজী বলেন, ‘যতটুকু ইলিশ মোকামে আসছে, তার দাম চড়া। বর্তমানে এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের এক মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা দরে।’ তিনি জানান, এখন ইলিশ পাওয়া না গেলেও আগামী পূর্ণিমার জোয়ারে ইলিশ পাওয়া যাবে। কারণ তখন সমুদ্রে পানির উচ্চতা বাড়বে। আর উচ্চতা বাড়লে ইলিশ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে।
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি জানান, খরচ উঠবে না—এমন আশঙ্কায় অনেক ট্রলার সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যাচ্ছে না। আনোয়ার হোসেন নামের এক ট্রলার মালিক জানান, গত শনিবার সকালে একটি ট্রলার গিয়েছিল। সব মিলিয়ে খরচ সোয়া লাখ টাকা। কিন্তু মাছ পাওয়া গেছে ৪০ হাজার টাকার।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ জেলেরা মাছ ধরতে পারেননি। মাঝে দুই সপ্তাহের মতো মাছ পাওয়া গিয়েছিল। এখন আবার জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসছেন।
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, নদী কিংবা সাগরে আগের মতো ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। গতকাল স্লুইস ঘাট বেতুয়া মৎস্য ঘাট, সামরাজ ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর হাওলাদার ঘাটে এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হয়েছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায়। ঢালচর হাওলাদার মৎস্য ঘাটের আড়তদার সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, ‘এখন ইলিশ কম ধরা পড়ছে; তাই দাম একটু বেশি। তারপরও মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।
Leave a Reply