শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
আমতলীর দক্ষিণ আমতলী গ্রামের সৌদি প্রবাসি বেয়াই নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হলেন কলাপাড়া উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের চম্পাপুর ইউনিয়নের মৃত চান মিয়া হাওলাদারের ছেলে আবুল হোসেন হাওলাদার (৬০)। সোমবার গভীর রাতে বিল্ডিং এর ভিতরে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত চানমিয়ার ছেলে মো: আবুল হোসেন হাওলাদার তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে সাথে নিয়ে আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে খাওয়া শেষে নিহত আবুল হাওলাদার ঘড়ের সামনের বারান্দায় এবং অন্যান্যরা ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৩ টার সময় আবুল হাওলাদারের ডাক চিৎকার শুনে ঘড়ের ভিতরের লোকজন জেগে উঠে দেখেন ৩-৪ জনের একদল দুবৃত্তরা আবুল হাওলাদারকে ধারালো ছুড়ি দিয়ে পেটে এবং বুকে আঘাত করেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবুল হোসেন হাওলাদার রক্তাত্ব অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন।
এসময় সৌদি প্রবাসী নজরুলের মেয়ে জেসমিন (২৪) ডাক চিৎকার দিলে দুবৃত্তরা ঘড়ে ঢুকে তাকেও এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্বজন এবং গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আবুল হোসেন হাওলাদারকে অজ্ঞান অবস্থায় ও জেসমিনকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহতদের অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় আবুল হাওলাদারকে বরিশাল শেবাচিম ও জেসমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। আবুল হাওলাদারকে বরিশাল নেওয়ার পথে লেবুখালী ফেরীঘাট পৌছার আগেই রাত ৪টার সময় মারা যান। সৌদি প্রাবাসী নজরুল ইসলাম খানের স্ত্রী আবুল হাওলাদারের বেয়াইন রেখা বেগম জানান, রাত আনুমানিক ৩টার সময় ঘড়েরর দরজা খোলার শব্দ পেয়ে উঠে এ ঘটনা দেখতে পাই। ধারনা করা হচ্ছে বাহির থেকে পরিচিতি কেউ ডাক দেওয়ার পর বেয়াই আবুল হাওলাদার দরজা খুলে দিয়েছে। স্ত্রী নার্গিস বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমি ঘুমে ছিলাম ডাকাডাকির শব্দ পেয়ে জেগে দেখি এই দুর্ঘটনা। তিনি আরো জানান, এলাকায় আমার স্বামীর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিৎসক ও কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার জানান, নিহত আবুল হোসেন হাওলাদারের হাতে বুকে এবং পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং জেসমিনের হাতে এবং শরীরেও ৪-৫ টি ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। আমতলী থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলাউদিদন মিলন জানান, লাশ উদ্ধার করে মঙ্গবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply