জেলা পরিষদের কর্মচারীর নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




জেলা পরিষদের কর্মচারীর নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জেলা পরিষদের কর্মচারীর নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জেলা পরিষদের কর্মচারীর নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনা জেলা পরিষদে কর্মরত মোঃ জাহিদুল ইসলাম ওরফে মাইদুল ইসলামের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গভীর নলকূপ প্রদানের কথা বলে তিনি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী।

 

অভিযোগকারী মামুন মীর এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগপত্র প্রদান করেছেন বলে জানাযায়। অভিযোগপত্র হতে জানাযায়, বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা (কড়ইবাড়িয়া) গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মামুন মীরের কাছ থেকে জেলা পরিষদ হতে গভীর নলকূপ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ২৭,০০০/- টাকা গ্রহণ করেন জেলা পরিষদের কর্মচারী (চৌকিদার) মোঃ জাহিদুল ইসলাম। টাকা গ্রহণের সময় মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে নলকূপ স্থাপনের কথা থাকলেও তিনি অদ্যবদি পর্যন্ত নলকূপ স্থাপন করিয়ে দিতে পারেনি। গত ১৫ জুন অভিযোগকারী ব্যক্তি জাহিদুলকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন মন্ত্রণালয়ে ফাইল প্রেরণ করা হয়েছে, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ফাইল আসলেই নলকূপ স্থাপন করা যাবে।

 

অভিযোগকারী ব্যক্তি গত ২৮ জুন জেলা পরিষদে খোজ নিয়ে জানতে পারেন যে, মন্ত্রণালয় প্রেরণকৃত তালিকায় তার নাম দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযুক্ত জাহিদুলকে পুনরায় ফোন দিলে তিনি বলেন ভাই এ বছর তো পারলাম না, আমার দেওয়া তালিকা তো বাদ পরে না, ভাগ্যক্রমে বাদ পরেছে, ৫ মাস অপেক্ষা করেন নলকূপ স্থাপন করিয়ে দিবো। অভিযোগকারী মামুন মীর সাংবাদিকদের জানান তিনি একটি গরুর বাচ্চা বিক্রি করে জাহিদুলকে ২৭,০০০/- টাকা দিয়েছেন। টাকা নেওয়ার সময় তিনি বলেন ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা না দিলে নলকূপ পাওয়া যাবে না। তাই তাড়াতাড়ি গরুর বাচ্চাটি কম দামে বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করেন। নলকূপের টাকা দেওয়ার সময় বরগুনা জেলা পরিষদে থাকলেও পরবর্তীতে তিনি বেতাগী উপজেলায় ডাকবাংলায় বদলী হন।

 

খোজ নিয়ে জানাযায় চাকরির শুরু থেকেই জাহিদুল বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযুক্ত জাহিদুলের সাথে পরিচয় গোপন করে কথা বললে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নলকূপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

 

তিনি মামুন মিয়ার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আগামী ৩ মাস অপেক্ষা করলে নলকূপ দিতে পারবেন বলে জানান। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অভিযুক্ত জাহিদুলকে টাকা নেওয়ার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, অভিযোগটি এষনও আমার হাতে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD