বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মহাদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুরের বিভিন্ন উপজেলার পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও যাত্রীরা।
প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। ভাঙা এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন লাখো মানুষ। কাদা আর গর্ত দেখে অনেক যাত্রী এই সড়ককে ধান খেত বলে মন্তব্য করেন।
সরেজমিন লাকসাম, বাগমারা বাজার, সোনাইমুড়ী চাষীর হাট, নাথের পেটুয়া, সোনাইমুড়ি-চৌরাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক মহাসড়কের করুণ দশা।
পিচ ঢালাই সড়কের খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাতের বেলায় এসব গর্তে যাত্রী ও মালবাহী গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
দীর্ঘদিন এ সড়কটি সংস্কার না করায় যাতায়াত করতে গিয়ে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে।
ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ বলেন, দৌলতগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ বাইপাসের বেহাল অবস্থা। সড়কের দুর্গতির কারণে বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত এ বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ সড়কটির দুরাবস্থার কারণে পণ্যবাহী যানবাহন চালকরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন। যার প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। ৫০ মিনিটের দূরত্বের এ পথ পার হতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। স্থানীয়রা অনেকে এ সড়ক এড়িয়ে বিকল্প সড়কে যাতায়াত করছেন।
সড়কের নোয়াখালী-সোনাইমুড়ী-চৌরাস্তা, বিপুলাসার, লাকসাম জংশন, বাইপাস এলাকা, বাগমারা বাজার, বিজয়পুরসহ বেশ কিছু এলাকায় সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সড়কে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে যাত্রীরা চলাচল করতে গিয়ে গর্তে পড়ে যানবাহন উল্টে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
এ কারণে এ পথে কোনো রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা যেতে চায় না। চালক যেতে রাজি হলেও ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা দাবি করে। অসংখ্য খানা-খন্দের পাশাপাশি লালমাইয়ের বাগমারা, লাকসামের জংশন ও বাইপাস, মনোহরগঞ্জের খিলাবাজার, বিপুলাসার ও নাথের পেটুয়া বাজার এলাকার সড়ক সরু হওয়ায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। সড়কটির দুই পাশে পানি নিষ্কাশনে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।
বাস চালক দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নোয়াখালী-কুমিল্লা সড়ক থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের সড়ক আরো ভালো। এ সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে শরীর ব্যথা ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়।
কুমিল্লা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক ভাঙা হওয়ায় গাড়ি বিকল হচ্ছে। এছাড়া করোনা সঙ্কট কেটে গেলে বাসসহ অন্য পরিবহন চলাচল বেড়ে যাবে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, বর্তমানে সড়কের অবস্থা খারাপ হলেও করোনার কারণে সংস্কার কাজ ঠিক ভাবে করা যায়নি। সংস্কারের চেষ্টা করছি।
Leave a Reply