রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, সরকারি জমি আত্মসাতকারী, জামাত-শিবির-বিএনপির নাশকতায় অর্থ যোগানদাতা শামসুল হক ও মৌজে আলীর বাহিনীর অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৮’র অধিনায়ক ও কোতয়ালী মডেল থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী মুকুল বেগম। গতকাল সকালে চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা তিনি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ সময় ওইসব ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দায়ের হওয়া মামলার নথিও জমা দেয়া হয়। র্যাব ও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ মুকুল বেগম নগরীর চাঁদমারী ১০নং ওয়ার্ড এলাকায় বসবাস করেন। তার নানা আফেজউদ্দিন’র ১৯৫৮ সালের দলিল ও রেকর্ড মূলে মালিকানা ১১নং ওয়ার্ডের চাঁদমারী মাদ্রাসা সড়কের বিআইপি পিছনের গেট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ী ও জমি রয়েছে। ওইস্থানে অর্থাৎ ৫০ নং বগুড়া আলেকান্দা মৌজায় মোট ১ একর জমি রয়েছে তাদের। ঐ জমি সি.এস, আর.এস ও বর্তমান বিএস বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস থেকে তার ওয়ারিশের নামে রেকর্ড হয়। যার এসএ দাগ নং- ৬২২২, ৬২২৩, ৬২২৪ ও ৬২২৫। বর্তমান বিএস জরিপের দাগ নং- ১৯৪৩২/১৯৪১০, ১৯৪১১, ১৯৪১৩, ১৯৪১৪। কিন্তু ওই জমি কয়েকজন ভূমিদস্যু নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডের চরেরবাড়ী এলাকার আনোয়ারুল হক’র ছেলে সামসুল হক, আলেকান্দা (শ্বশুরবাড়ীর ঠিকানা) মৃত আমজেদ আলী খান’র ছেলে মৌজে আলী খান, শেবাচিম হাসপাতালের ব্রাদার মৃত আব্দুল গফুর হাওলাদার’র ছেলে সুলতান মাহমুদ, বিআইপি এলাকার মৃত ময়জুদ্দিন আকন’র ছেলে বেল্লাল আকন, আজিজ উদ্দিন বিশ^াস’র ছেলে সাইদুল আলম ইউনুস, কালুশাহ সড়কের সৈয়দ বদরুদোজ্জাহ’র ছেলে সৈয়দ ফাহাদ ও চরেরবাড়ীর সামসুল হকের ছেলে রাজু জোর করে জমি দখলের পায়তারা করে আসছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে জমিতে লেবার নিয়ে কাজ করতে গেলে কোতয়ালী থানা পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় ঐ ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা সামসু ও মৌজে আলী বাহিনী আমাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এছাড়া তাদের কথা না শুনলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দেয়। ঐ ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী চক্র বিভিন্ন সময় বিআইপি পিছনের গেট এলাকার নিরীহ মানুষজনকে হামলা-মামলা করে হয়রানি করে আসছে। উল্লেখিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একাধিক অভিযোগ, মামলা ও জিডি রয়েছে যার নং- ৬৯৬/২০১৫, ১০৯৬/২০১৫, ১১০৩/২০১৮ ও ৩৮৫/২০১৭। এডিএম কোর্টের মামলা নং- ৭৬/১৮, মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা নং- ৩৬৭/২০১৪, মোকাম বরিশাল ১ম যুগ্ন জেলা জজ আদালত মামলা নং- ০৭/২০১৪, চাঁদাবাজী মামলার নং- ৮২/২০১৮। এছাড়া ১১ নং ওয়ার্ডে আ’লীগ অফিস ভাংচুর, স্টেডিয়াম কলোনীতে শ্লিলতাহানী ও জণপ্রিয় কাউন্সিলর ১৪নং ওয়ার্ডের মাহাবুবুল আলম মেহেদী বাড়ীতে প্রকাশ্যে নাইন এমএম নামের পিস্তল দিয়ে গুলি করা মামলার আসামী। একই সাথে নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের কেডিসি এলাকার বাংলাদেশ কৃষি কর্পোরেশন এর সরকারি জমি দখলসহ দক্ষিণা ল আ’লীগের অভিভাবক (বর্তমানে মন্ত্রি) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী সামসু ও মৌজে আলী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এছাড়া জামাত, শিবির ও বিএনপির নাশকতায় অর্থ যোগান দিয়ে আসছে শামসুল হক ও মৌজে আলী। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এদের অত্যাচারে গোটা বরিশালের কোন মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না। তাই ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে র্যাব এবং পুলিশের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ভূক্তভোগী মুকুল বেগম। বর্তমানে আবারও সন্ত্রাসী সামসু ও মৌজে আলী বাহিনী আমাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। যদিও জমি নিয়ে আদালতের মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আদালতে নির্দেশ অমান্য করে এসব ভূমিদস্যু সামসু ও মৌজে আলী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহরা ও মামলার বাদীকে হুমকি দিচ্ছে অব্যাহত ভাবে। তারপরও আমাকে যেকোন সময় হত্যা বা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন বাদী। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান লিখিত অভিযোগে।
Leave a Reply