রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বীকৃত ২৫ হাজার চিকিৎসকের সহযোগিতা কার্যক্রম প্রসারিত করছে গ্রামীণফোন। এরই ধারাবাহিকতায় চিকিৎসকদের ১ টাকা টোকেন মূল্যের বিনিময়ে প্রতি মাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সুবিধা নির্ধারিত চিকিৎসকদের জন্য আগামী ছয় মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে।
শুক্রবার (৮ মে) বিকালে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান।
তিনি বলেন, দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের আগে কখনও এমন সংকটপূর্ণ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়নি। এমন একটি সংকট আসবে এবং সেটি এভাবে আমাদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, সেটা কেউই চিন্তা করতে পারেনি। তাই এখন সময় সবাইকে এক সাথে এর মোকাবিলা করা।
ইয়াসির আজমান বলেন, করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তায় অনুকরণীয় সব উদ্যোগ গ্রহণে গ্রামীণফোন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই, ব্র্যাক, বিটিআরসি, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং শিল্পখাতের অন্যান্য অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এছাড়া লকডাউন পরিস্থিতিতে ডাটার ব্যবহার বৃদ্ধি মূল্যায়ন করেছে গ্রামীণফোন। যেহেতু দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্যে জরুরি সেবা চলছে ইন্টারনেট ওপর ভিত্তি করে। তাই মাইজিপি অ্যাপ থেকে কেনা সব সাপ্তাহিক ডাটা প্যাকে ১০০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোন।
অন্যদিকে করোনা দুর্যোগকালীন এপ্রিল মাসে যারা রিচার্জ করতে পারেননি বা ব্যালেন্স খুবই কম এমন গ্রাহকদের ১০ কোটি মিনিট ফ্রি টক টাইম দিচ্ছে গ্রামীণফোন। জরুরি সেবাদাতা হিসেবে গ্রামীণফোন এই সময়ে সাড়ে ৭ কোটি গ্রাহকের জন্য সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট কলরেট ৪৮ পয়সা করেছে।
এ প্রতিকূল সময়ে গ্রাহক সেবাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন গ্রামীণফোনের খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের কথা চিন্তা করে, এ সঙ্কটের সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গ্রামীণফোন ১০ কোটি টাকা সমমানের সেফটি-নেট ক্রেডিট স্কিমের ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় গ্রামীণফোন ও ব্র্যাকের যৌথ প্রচেষ্টা ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এ কার্যক্রমে গ্রামীণফোন ইতিমধ্যে ১ লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকার খাদ্যসহায়তা দিয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত হাসপাতালে ৫০ হাজার প্রফেশনাল পিপিই দিয়েছে গ্রামীণফোন।
এ সময় গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাসার অংশ নেন।
Leave a Reply