ঝালকাঠিতে টিসিবির পণ্য কিনতে ডিলারদের দোকানে ভির লেগেই আছে Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ঝালকাঠিতে টিসিবির পণ্য কিনতে ডিলারদের দোকানে ভির লেগেই আছে

ঝালকাঠিতে টিসিবির পণ্য কিনতে ডিলারদের দোকানে ভির লেগেই আছে




ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে ডিলারদের দোকানে ভির লেগেই আছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ডাল, চিনি, ছোলা ও তেল কিনছেন সাধারণ মানুষ। তবে এসব পণ্য কিনতে তাঁরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। লাইনে গাদাগাদি করে তাঁরা পণ্য কিনছেন। ডিলাররাও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতাদের হাতে মালামাল তুলে দিতে।

জানা যায়, ঝালকাঠিতে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য ৮জন ডিলারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ ওঠে। একারণে তাদের পণ্য দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে শহরে তিনজন ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন। এদের মধ্যে একজন শহরের আড়ৎদারপট্টি, স্টেশন রোড ও চাঁদকাঠি এলাকায় ডাল, ছোলা, চিনি ও তেল বিক্রি করছেন। তিনজন ডিলারের দোকানেই উপচে পড়া ভির রয়েছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা এসব পণ্য কিনছেন। তেলের লিটার ৮০ টাকা ছাড়া অন্যসব পণ্য ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টিসিবিতে।

শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, আৎদারপট্টিতে দুপুরের পর থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন শত শত মানুষ। অনেকের মুখে সাধারণ মাস্ক পড়া থাকলেও, অনেকেই অনিরাপদে কিনছেন পণ্য। গায়ের সঙ্গে গামিলিয়ে পণ্যের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে অনেকের সঙ্গে ঝগড়াও লেগে যাচ্ছে। সামনে যাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। যারা টিসিবির পণ্য কিনতে এসেছেন, তাদের বেশিরভাগই দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। বিকেলে চাঁদকাঠি ও স্টেশন রোডে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। অনেক সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সেচ্ছাসেবীরা ভির সামলানোর চেষ্টা করেও পারছেন না। যতক্ষণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি থাকে ততক্ষণ লাইন ঠিক থাকে। তাঁরা চলে গেলে আবার হ-য-ব-র-ল অবস্থা হয়ে যায়।

শহরের নতুনকলাবাগান এলাকার দিনমজুর সোহাগ হাওলাদার বলেন, আমাগো সব কাম-কাইজ বন্ধ অইয়্যা গ্যাছে। খামু কি, ঘরে কোন খাবার নাই। সামনে রোজা আইছে, ছোলা, চিনি ও তেল কিনতে আইছি। লাইনে দাঁড়াইছি, কখন কিনতে পারমু জানি না। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েছেন কেন জানতে চাইলে বলেন, আমাগের কিছু অইবে না, আল্লায় রক্ষা করবে।

আড়ৎদারপট্টি এলাকায় মাস্ক না পড়ে লাইনে দাঁড়ানো এক নারীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, মাস্ক লাগে না। লাইনে দাঁড়াইয়্যা থাকলে ঘামাইয়্যা যায়। মাস্ক পড়লে শ্বাস বন্ধ হইয়্যা যাইবে।

এ ব্যাপারে আড়ৎদারপট্টির টিসিবি ডিলার আলমগীর হোসেন বাবুল বলেন, আমরা পণ্য বিক্রির সময় ক্রেতাদের লাইনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেই। এমনকি দূরত্ব বজায় না রাখলে, পণ্য দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কিছুক্ষণ ঠিক থাকলেও আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আহমেদ হাসান বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমরা অভিযান করে যাচ্ছি। টিসিবি পণ্য বিক্রি এলাকায় যতক্ষণ আমাদের গাড়ি থাকে, ততক্ষণ সবাই শৃঙ্খলা বজায় রেখে মালামাল ক্রয় করে। গরিব মানুষ এখানে পণ্য কিনতে আসছেন, কিন্তু তাঁরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বুঝছেন না।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD