শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর নাম ওমপ্রকাশ পান্ডে। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে। তিনি সেখানকার একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন। অভিযোগ, তিনি হাসপাতালের দোতলার আইসোলেশন ওয়ার্ডের শৌচাগারের জানালার রড ভেঙে নিচতলায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই হাসপাতালের একতলার কার্নিসে আটকে পড়েন তিনি। তা দেখে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী ও রোগীদের পরিজনদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁরা ওমপ্রকাশকে শৌচাগারের পাইপ দিয়ে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এর পরে হাসপাতালের তরফে পুলিশ ও দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দমকল কর্মীরা কার্নিসে সিঁড়ি লাগিয়ে তাঁকে নীচে নামান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় আধঘণ্টা ওই ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং করানোর পরে তাঁকে ফের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন।
হাসপাতালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায়ের বক্তব্য, ‘‘শনিবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের লোকেরা তাঁকে নিতে না আসায় আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে ছাড়া হয়নি। সেই কারণে, মানসিক অবসাদে তিনি ওইদিন ওয়ার্ড থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, লকডাউন শুরু হওয়ার আগে রায়গঞ্জে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ওমপ্রকাশ। জেলা প্রশাসন তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়। একসপ্তাহ আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
ওমপ্রকাশের কথায়, ‘‘হাসপাতালে থাকতে আর ভাল লাগছিল না। তাই পালানোর চেষ্টা করেছিলাম।সুত্র, আনন্দবাজার
Leave a Reply