বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা প্রতিরোধে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষণার পর কাঁঠালবাড়ি ঘাটের চারপাশ পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনশূন্য হয়ে ঘাট এলাকায় বিরাজ করছে শুনশান নীরবতা।
মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। জেলা প্রশাসন জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন। করোনা প্রতিরোধে সরকার ছুটি ঘোষণা করার পর হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ বাড়িতে ফেরেন। তারা দুইদিন ধরে কর্মস্থলে যোগদান করতে এই নৌরুট ব্যবহার করছেন। এতে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। এমতাবস্থায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত আসার পর কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়। তবে জরুরি প্রয়োজনে ২ থেকে ৩টি ফেরি চালু রাখা হবে। এই ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক ও সরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পারাপার করা হবে।মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘাট এলাকায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
এদিকে যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষণায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়া যাত্রীদের ভোর থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এতে পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের আশপাশ। নোঙর করে রাখা হয়েছে নৌযানগুলো। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply