মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥ বানারীপাড়ায় চাখার ইউনিয়ের চিড়াপাড়া গ্রামে রেজাউল করিম লিটন নামের সিঙ্গাপুর ফেরত এক প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘোরাফেরা করা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আইনজীবী সহকারী সহ তার ৫ সহোদর মিথ্যা মামলার আসামী হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে মামলা এজাহারভূক্ত হওয়ার পূর্বেই ইউসুফ হাওলাদার নামের একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বরিশাল জেলা আইনজীবী সহকারী লালন সিকদার বাশার অভিযোগ করেন চাখারের চিড়াপাড়া গ্রামে তার প্রতিবেশী রেজাউল করিম লিটন সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে বাড়িতে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে স্থানীয় লস্করপুর বাজার সহ এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় এনিয়ে লালনের ভাই মিরন ও হিরণ প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসী লিটনের ভাই চিড়াপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম লাভলু ,প্রবাসী লিটন,রাসেল ও তাদের ফুফাতো ভাই নাঈম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আদনান হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মিরন, হিরণ ও মিলনকে পেয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ায়।
এসময় দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম লাভলুর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল লালনের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউসুফ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। এসময় লালনের বৃদ্ধ পিতা মো. আশরাফ আলী সিকদার পুলিশের ভয়ে পুকুরে পড়ে আহত হয়।
উভয় পক্ষ দাবী করে সংঘর্ষে মোট ৫ জন আহত হয়েছে। এদিকে ওই দিন রাতে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম লাভলু বানারীপাড়া থানায় আইনজীবী সহকারী লালন সিকদার বাশার,তার ভাই হিরণ,মিরন,মিলন ও তাদের ফুফাতো ভাই ইউসুফ হাওলাদারকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় করোনাভাইরাসের কারনে দুস্থদের জন্য সরকারী বরাদ্দের ত্রাণ বিতরণের তালিকায় মিরন ও হিরণের নাম না দেওয়ায় তাদের নেতৃত্বে আসামীরা ইউপি সদস্য লাভলু ও তার প্রবাসী ভাই রেজাউল করিম লিটনের ওপর হামলা করে এবং ১৫ হাজার ৫ শত টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে ওই ইউপি সদস্য নিজেকে ও তার প্রবাসী ভাইকে মামলায় আহত দেখালেও তারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ওই দিন রাতে সশরীরে থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শিশির কুমার পাল জানান অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং ওই দিন রাতে মামলা রুজু করা হয়।
Leave a Reply