মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদ্যাপিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে, ‘আমি প্রজন্মের সমতা: নারী অধিকারের প্রতি সচেতনতা’। আর বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’।
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ মজুরি-বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের ওপর দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। নানা ঘটনার পর ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।
প্রতিদিনই নারীর প্রতি নির্যাতন, হয়রানিসহ নানান ধরনের নেতিবাচক খবর আসে। বিশ্বজুড়ে নারীর অগ্রগতি ও মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে অনেক পথ পাড়ি দেওয়া এখনো বাকি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা-নির্বিশেষে মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবি তাই সর্বজনীন। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটিয়ে সম-অংশীদারত্বের বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আরও বেগবান হবে, এটাই নারী দিবসের প্রত্যাশা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে বিশ্বের সব নারীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, সভ্যতার শুরু থেকে সব কাজে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমান সরকার নারী-পুরুষের সমতা বিধানে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে সহযাত্রী করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
Leave a Reply