সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ সম্প্রতি পিরোজপুর সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ‘এ.এফ.এ ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় জরিমানার টাকা না দেওয়ায় ভাটার ম্যানেজারকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ওই ইটভাটাটি ভেঙেও দেয় প্রশাসন। কিন্তু এবার প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু করছে ‘এ.এফ.এ.’ ব্রিকসের মালিক।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়নের পূর্ব হরিণা গ্রামের নজরুল ইসলাম মনিরের মালিকানাধীন ‘এ.এফ.এ. ইটভাটায়’ অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ ওই ইটভাটাটি ভেঙে দেয়। একই সময় ছাড়পত্র ছাড়া ইট প্রস্তুত করার অপরাধে ইটভাটার ম্যানেজার ও সদর উপজেলার দক্ষিণ রাণীপুর গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে সোয়াইব হোসেনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ইট পোড়ানো ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে সোয়াইবকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর থেকে সোয়াইব হোসেন জেলা কারাগারে হাজতবাস করছেন।
তবে সরেজমিনে ‘এ.এফ.এ. ব্রিকস’ নামে ওই ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, ভেঙে দেওয়া চুল্লিটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। পাশেই কাটা হচ্ছে গাছ। এছাড়া ইটও তৈরি করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু পোড়ানোর।
শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম মিরাজ জানান, অভিযানে জরিমানার টাকা দিতে না পারায় ভাটার ম্যানেজার সোয়াইব হোসেনকে আটক করে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু বর্তমানে ইটভাটার মালিক নজরুল ইসলাম মনির আবারও তার ভাটার কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে কীভাবে তিনি এই কাজ পুনরায় শুরু করতে পারলেন সে বিষয়ে কিছু জানেন না এই ইউপি সদস্য।
এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক নজরুল ইসলাম মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে মৌখিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। সে কারণে তিনি ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই ইট পোড়ানো শুরু হবে। অত্র এলাকায় তার মতো আরও কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। তারা যেভাবে ইট পোড়ানোর কাজ করছে তিনিও সেভাবেই কাজ করবেন। এ দিকে, পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম জানান, ভাটা চালানোর জন্য ‘এ.এফ.এ. ব্রিকসকে’ কোনোরকম মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবৈধভাবে ভাটা চালানোর জন্য গত বছরের শেষের দিকে ‘এ.এফ. এ. ব্রিকসসহ’ আরও একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply