মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যে একে একে ধরা পড়ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ নেতারা। ক্যাসিনো ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে অনেক প্রভাশালী নেতার বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে জানা গেছে, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ প্রায় ১০০ কেন্দ্রীয় নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ফোনে রয়েছে। যা আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের শীর্ষ নেতাদের দেখিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে গণভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার মোবাইল ফোন বের করে তাতে বিভিন্ন নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ছবি দেখান। শেখ হাসিনা প্রায় ২০টি ছবি নেতাদের দেখিয়ে বলেন, আরও অনেক ছবি আমার কাছে আছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফোনে কয়েকজন নেতার ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত আছে। কে কোথায় গিয়ে ক্যাসিনো খেলেন, সেই ছবিও মোবাইল ফোন থেকে বের করে তিনি দেখিয়েছেন। যুবলীগ নামধারী ঠিকাদার জি কে শামীমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ছবিও প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে আছে এবং সেগুলো তিনি নেতাদের দেখান। এছাড়া যুবলীগ নেতা সম্রাটের সঙ্গে কোন কোন নেতা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অবৈধ জায়গায় গিয়ে আনন্দ করেছেন সেসব ছবি ও ভিডিও তিনি দেখিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে গণভবনের বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, আমি যে অভিযান শুরু করেছি, তার আগে সব তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করেই নেমেছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও আমার কাছে রয়েছে। চাইলেই যে কেউ অস্বীকার করবে তার কোনো উপায় নেই।
ওই নেতা আরও বলেন, মোবাইলে সংরক্ষিত থাকা ছবিতে সভাপতিমণ্ডলীর, সম্পাদকমণ্ডলীর ও কেন্দ্রীয় সদস্য, সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যও আছেন। সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অপকর্মের ছবিও আছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এ ছবিগুলোর কোনোটাই ফেক ছবি নয়। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ছবিগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনার আত্মীয় বলে পরিচিত কয়েকজনও আছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতিকে উদ্ধৃত করে দলের অন্য দুই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ছবিগুলো দেখাতে দেখাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হলো আওয়ামী লীগ নেতাদের অবস্থা। আমি কাউকেই ছাড়ব না। যেহেতু ধরা শুরু করেছি, শেষ দেখেই ছাড়ব।
বৈঠকে উপস্থিত আরেক নেতা বলেন, ওই বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজনের ছবিও প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে ছিল। তবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন বলে ওই নেতাদের ছবি দেখাননি প্রধানমন্ত্রী। খবর: দেশ রুপান্তর
Leave a Reply