বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।। বড় মেয়ে তানিয়া মাস্টর্সের শিক্ষার্থী। মেজ সুমী অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এবং ছোট মেয়ে মিতু অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছে। এর ওপরে রোগাক্রান্ত স্বামী আবুল কালাম এখন কর্মহীন। পাঁচ জনের সংসার চলছে না মিনারা বেগমের। মেয়েরা লেখাপড়ার ফাঁকে টিউশনি করে সংসারের যোগান দেয় কোনমতে। অর্ধহার নিত্য দিনের ঘটনা। স্বামী কালাম ওয়ার্কশপ চালাতো।
এখন অসুখে কর্মহীন স্বামী। ৪২টি বছর কলাপাড়া পৌর শহরের ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তার পাশের এক চিলতে খাস জমিতে বসবাস। চরম দারিদ্র্য এ পরিবারে। বর্তমানে এলাকার চিহ্নিত একদল সন্ত্রাসী কালা মিরাজের নেতৃত্বে মিনারার ঘরের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। রাত-দিন বিভিন্ন সময় ২৫-৩০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী হানা দেয়। প্রথম দফা ২৮ জুলাই ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য হামলা চালায়। গালাগালসহ মেয়েদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও মিনারার অভিযোগ। বর্তমানে চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এপরিবারটি প্রতিকারের আশায় ধর্ণা দিচ্ছেন দ্বারে দ্বারে।
রোববার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে মিনারা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বড় মেয়ে তানিয়া। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে সরকারের খাস জমিতে বসবাস করেও স্থানীয় সমবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দুই হাজার টাকা করে ভিটি ভাড়া দিতেন। তারা এখন একটি প্রভাবশালী মহলকে ওই জায়গার দখল দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে মো. সোহাগ, কালা মিরাজ, মাসুম বিল্লাহকে দিয়ে ওই জমি থেকে উচ্ছেদে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়।
বর্তমানে এপরিবারটি সকল সদস্যদের নিয়ে চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। মিনারা বেগম বলেন, এখন মেয়েদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে রাত্রি যাপন করছি।
এ পরিবারটির নিরাপত্তাসহ বসতঘর রক্ষার আবেদন করেছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। মিনারা আরও জানান, তিনি কলাপাড়ার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহায়তা চেয়েও পায়নি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কিন্তু কোন ধরনের প্রতিকার জোটেনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মিরাজ জানান, তিনি ওই খানে গিয়েছেন। কিন্তু কোন হামলা করেননি। বেড়া দেয়ার কথাও স্বীকার করেন।
Leave a Reply