সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাকেরগঞ্জের সাহান-চুন্নুবাহিনী ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক জিয়াউল হক আকনকে হুমকী দেয়া হয়। আজ সকালে দেয়া হুমকীর ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলে দৈনিক প্রথম সকালের বার্তা সম্পাদক এবং মহাকাল পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ কাওছার ক্ষৌণিশসহ দুজনকে হত্যার হুমকী দিয়েছে সাহান-চুন্নুবাহিনীর প্রধান সাইফুর রহমান সাহান। ০১৭২৬৬৪৩৯১৬ নাম্বার থেকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ সাংবাদিক ক্ষৌণিশকে হত্যার হুমকী দেয় সাহান। ফোনে বলা হয়, ক্ষৌণিশকে যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করা হবে।
এসব বলে সাংবাদিক কোথায় আছে তার অবস্থান জানতে চায়। এছাড়া রুবি আক্তার নামে এক নারীকে দিয়েও মুহূর্মুহু হুমকী দেওয়ানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে- ওই সন্ত্রাসী বাহিনীতে নারী সদস্য রয়েছে। বাকেরগঞ্জের আউলিয়াপুর এলাকার অসীম ফকির জানিয়েছেন, তার কাছে সাংবাদিক ক্ষৌণিশের অবস্থান জানতে চেয়েছে সাহান এবং চুন্নু। সাংবাদিক ক্ষৌণিশ জানিয়েছেন, এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রসঙ্গত, বরিশাল র্যাব-৮ এর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত বাকেরগঞ্জের জালাল বাহিনীর প্রধান জালালের দুই প্রধান সহযোগী সাইফুর রহমান সাহান এবং কারুজ্জামান চুন্নু।
বন্দুকযুদ্ধে জালাল নিহত হওয়ার পর ওই দুই প্রধান সহযোগী মিলে নতুন করে গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসের বিশাল নেটওয়ার্ক। জালাল নিহত হওয়ার পর ওই বাহিনী কিছুদিন লেজগুটিয়ে থাকলেও ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলাজুড়ে গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসের বিশাল নেটওয়ার্ক। প্রশিক্ষিত কিশোর থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।
ছিঁচকে থেকে শুরু করে বড় বড় নাশকতায় পেশাদারি সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে ওই গ্রুপটি। ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক জিয়াউল হক আকনকে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়েছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা শান্ত ও সিয়াম বাহিনী আজ সকালে সেলফোনে সাংবাদিক জিয়াউল হক আকনকে হত্যার হুমকী দেয়। ছিঁচকে থেকে শুরু করে বড় বড় নাশকতায় পেশাদারি সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে ওই গ্রুপটি। ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক জিয়াউল হক আকনকে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা শান্ত ও সিয়াম বাহিনী আজ সকালে সেলফোনে সাংবাদিক জিয়াউল হক আকনকে হত্যার হুমকী দিয়েছে। সন্ত্রাসী শান্ত ও সিয়াম উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান চুন্নুর ভাগ্নে।
গত ১৯ জুন রাত পৌনে ৮ টার দিকে উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের নিউমার্কেট এলাকায় প্রকাশ্যে আবুল হোসেন খান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. নাসিম হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশে বুকে ছুঁড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। এঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনারপরপরই থানা পুলিশ প্রধান আসামী শান্তকে গ্রেফতার করেছে।
ওই সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক জিয়াউল হক আকনকে হত্যার হুমকী দেয়া হয়। সাংবাদিক জিয়াউল হক আকন জানান, সন্ত্রাসী চুন্নু বাহিনীর প্রধান শান্ত’র আস্তানা রাজধানীর যাত্রাবাড়ি বিবির বাগিচা। পেশাদার ওই বাহিনী খুন, চাাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত। এছাড়া নারী ও মাদক বাণিজ্যের সাথেও জড়িত রয়েছে শান্তবাহিনী। যাত্রাবাড়িসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবার চালান এনে বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে ওই বাহিনী।
যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাসরত অর্পা নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে করে নিজ এলাকা ফলাঘর গ্রামে এনে এক বছর আটকে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে ওই মেয়েটি তার মা-বাবার কাছে ফিরে যায়।
অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফলাঘর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আকুল জোমাদ্দারকে ফাঁদে ফেলেছিলো। পরে বরিশাল র্যাব-৮ এর ইন্টালিজেন্স ব্রাঞ্চ ওই বাহিনীর তিন কিশোরকে আটকের ক্লু উদ্ঘাটিত হয়। উল্লেখ্য, বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর নিউমার্কেট এলাকার নাসিম নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গত বুধবার ১৯ জুন রাত পৌনে ৮ টার দিকে নিউমার্কেট এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে একই উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ফলাঘর গ্রামে বসবাসরত মোখলেসুর রহমানের পুত্র কিশোরসন্ত্রাসী সিয়াম ও শান্ত বেদম মারধর করে নাসিমের বুকে ছুড়ি ঢুকিয়ে দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মাটিতে ঢলে পড়ে কিশোর নামিস। স্থানীয়রা তাকে ?উদ্ধার করে বরিশাল শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাসিমের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
ঘটনার পরপরই রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ বাজার ?এলাকা খেকে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই কিশোরসন্ত্রাসী শান্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের বিশেষ টিমের হাতে গ্রেফতার হওয়া শান্ত ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। (সাহান-চুন্নুবাহিনীর ভয়াবত সন্ত্রাসী কর্মকা- নিয়ে বিস্তারিত আসছে। চোখ রাখুন…। )
Leave a Reply