সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আবারো ভন্ড ফকিরের প্রলোভনে পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে নবম শ্রেনীর ছাত্রী। পত্র-পত্রিকা খুললেই প্রায়ই শোনা যায় এমন কাহিনী। তবে এবারের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলছে তুল-কালাম। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহলের দৌড়ঝাপ চোখে পড়ার মত। সূত্রে জানা গেছে, অন্তসত্ত্বা মেয়ের পরিবার এখন এলাকা ছাড়া হয়েছে। ভন্ড ফকির আজিজ প্রায়ই মেয়েদের বাসায় যেত জন্ডিস ঝাড়ানোর জন্য।
এক পর্যায়ে স্কুল ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের স্বীকৃতি দিতেই ভন্ড ফকিরের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কাউকে কিছু না জানিয়ে ভন্ড ফকিরকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে স্কুল ছাত্রী। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি জানায়, আমাকে প্রথমে নানা ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার দৈহিক মিলন করেছে ভন্ড ফকির। আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা বললে সে আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায়।
হঠাৎ করে মেয়েটি গত ২/৩ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন যে, সে অন্তঃসত্ত্বা। এসময় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। স্থানীয় ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাদের ঘরে জন্ডিস ঝাড়ানো সহ ঝাড় ফুকের জন্য প্রায়ই ঘরে যাওয়া আসা ছিল ভন্ড ফকির আজিজ খানের (৩০)।
বরিশাল সদর উপজেলা চাঁদপুরা ইউনিয়নের কুন্দিয়ালপাড়া গ্রামের বিকে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি ছাত্রী। আরো জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের মৌলভীরহাট এলাকার মোঃ বাবুল খানের লম্পট পুত্র আজিজ খান(৩০)। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ সাথে। তিনি জানান, আমাকে ইউএনও স্যার জানিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম।
তবে অন্তসত্ত্বার পরিবারকে পায়নি। আমরা সংবাদ দিয়ে আসছি, ভিকটিমের পরিবার আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসী জানিয়েছে এই লম্পট আজিজের এর আগেও স্ত্রী সন্তান রয়েছে। এর পরেও লম্পট আজিজ নানা স্থানে এমন কাজ আরো করেছে। এই লম্পটের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
Leave a Reply