সন্ত্রাসী বাহিনী-শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর:প্রধানমন্ত্রীর সহ ১০ মন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাদীকে হয়রানি Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




সন্ত্রাসী বাহিনী-শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর:প্রধানমন্ত্রীর সহ ১০ মন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাদীকে হয়রানি

সন্ত্রাসী বাহিনী-শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর:প্রধানমন্ত্রীর সহ ১০ মন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাদীকে হয়রানি




মাজহারুল ইসলাম :  কথায় আছে আকাশে যত তারা পুলিশ ব্যবহার করে তত ধারা।যদিও পুলিশ বাহিনীর আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার বিধান রয়েছে।কাগজ কলমে শুধু পুলিশ এ্যাক্ট আছে।বাস্তবে পুলিশের বিরুদ্ধে সে সব আইন প্রয়োগ না করায় পুলিশ বাহিনী বেপরোয়া।পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।কোন অপরাধের সাথে সংগঠিত হওয়ার পরে সাময়িক বরখাস্ত(ক্লোজড) নামে শব্দ ব্যতিত শাস্তি হয়না অধিকাংশ পুলিশের।অনুসন্ধানে সুত্রে জানাযায়,বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী কাগজ-কলমে জনগণের বন্ধু।প্রকৃত বন্ধু সুলভ আচরণ আশা করা মুশকিল ও দুস্কর বটে।

সম্প্রতি উচ্চ আদালত পুলিশের প্রতি কয়েকটি নির্দেশনা জারি পূর্বক জনকল্যাণ মুলক রায় প্রদান করেছেন।উচ্চ আদালতের এসব নির্দেশ মানছে না পুলিশ।যার কারনেই জনগন তার সুফল পাচ্ছে না।প্রথমে ইউনিফর্ম ব্যতিত পুলিশ বা আইন শৃংখলা বাহিনী কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না।

সুনিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত কোন নাগরিককে গ্রেফতার করা নিষেধ।সাদা পোশাকে কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন অপরাধীকে আটক করা যাবে না।পুলিশের সন্দেহভাজন আইন ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পূর্বে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান পূর্বক ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে।সন্দেহভাজন কোন নাগরিককে কোন অপরাধের শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া যাবে না।এরুপ ২৩টি নির্দেশনা পূর্বক রায় প্রদান করেছেন।

কিন্তু সংবিধানের সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ ৩২,৫১,১৪৩-১৫৬ ধারায় বলা হয়েছে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বা ইউনিফর্মধারী যেকোন পুলিশ সদস্য ওয়ারেন্ট ব্যতীত যেকোন নাগরিককে আটক করতে পারবে।

সে ধারা রহিত না সত্ত্বেও ৫৪ধারা অপ-প্রয়োগ করে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।কোন কোন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কারনে বিনা অপরাধে নিরীহ সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে।থানায় আটক রেখে ২-৫দিন পরে মিথ্যা মামলায় বা সন্দেহভাজন ৫৪ধারায় চালান দেয়।কিছু কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা নিজের ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় সর্বদাই লিপ্ত থাকে।সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে,আইনের অপ-প্রয়োগ বন্ধ করা একান্ত জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ।

পুলিশের অপরাধ বন্ধের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তর দৃড় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সত্ত্বেও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ করে ভোগান্তি স্বীকার নিরীহ মানুষ।পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ দেয়া সত্ত্বেও তদন্ত হিমাগারে পড়ে থাকে।তদন্তের নামে অভিযোগকারীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য ঘটনা হলো:-বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সাবেক আলিমাবাদ ইউনিয়নের বর্তমানে শ্রীপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট ২০০৬ বিকেল ৫টায় আসর নামাজের পর দোয়া-মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল।বিএনপির দলীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালনে বাধা দিয়ে বিএনপির নেতা নয়ন জোমাদ্দারের নেতৃত্বে ৫০/৬০ বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

বিএনপির সন্ত্রাসীর দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আ.লীগের নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম,আ. লীগ অফিস কুপিয়ে তছনছ,দোয়া-মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের আনিত ৬ মন জিলাপি ৭টি মোবাইল সেট নগদ ৭ হাজার টাকা সোনার অলংকার ছিনিয়ে নিয়েছে।

অতঃপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করে।আ.লীগের নেতা কর্মীদের কুপিয়ে জখম করা সত্ত্বেও অবরোধ করে চিকিৎসা সেবা দিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যেতে দেয়নি।রাতের আধারে পালিয়ে ঢাকা গিয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরা পরে ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ২০০৬ আ.লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এম মাজহারুল ইসলাম মামুন সহ ৭ জনকে ধরে নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় আটক রেখে জিআর ১৫৩/২০০৬ ছিদ্দিক ভূঁইয়া নামে বাদী সাজিয়ে চালান দেয়া হয়।পরবর্তীতে এসআই আব্দুল্লাহ বিশ্বাস ঘটনা সত্যতা না পেয়ে চুরান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।এর পরেও ক্ষ্যান্ত হয়নি একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।

২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সচ্ছ-নিরপেক্ষ,অবাধ,সুষ্ঠু নির্বাচনে আ.লীগ সরকার গঠন করলেও বরিশাল-৪ হিজলা,মেহেন্দিগঞ্জ নির্বাচনী আসনে সংসদ সংসদ কাজী মেঝবা উদ্দিন ফরহাদ হয়।মেঝবা উদ্দিন ফরহাদ এমপি হওয়ার সুবাদে শ্রীপুরের আ.লীগ রাজনীতি নেতৃত্ব শুন্যের চেষ্টায় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার শুরু করে।উক্ত নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৭ এপ্রিল ২০১০ আদালতে এমপি ১৭৩/১০ সিআর ২০১১ মামলা বাদী এম মাজহারুল ইসলাম মামুন।মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলাম ১ ডিসেম্বর ২০১০ সরেজমিনে শ্রীপুর তদন্ত আসায় স্বাক্ষী প্রমানে প্রমাণিত হয়েছে।

শ্রীপুরের আ.লীগ নেতা-কর্মীরা স্বাক্ষী দেয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ রাত ৮ টায় মন্নান শেখের নেতৃত্বে বিএনপির সন্ত্রাসীরা রামদা,পিস্তল,পাইপগান,বন্ধুক,চাপাতিয়ার,টেডা,সরকি ইত্যাদি জীবন নাশক অস্ত্রাদি নিয়ে শ্রীপুর বাজারে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আ.লীগ অফিস কুপিয়ে তছনছ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও প্রধানমন্ত্রাী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ,লুটতরাজ নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা ইত্যাদি অপরাধ করেছে।ওই ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ আজকের বার্তা পত্রিকায় মেহেন্দিগঞ্জের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১৭ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপারের দেবদাস ভট্টাচার্য থাকাকালীন মেহেন্দিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি জুলফিকার আলী গাজ্জালী ও এসআই নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এম মাজহারুল ইসলাম মামুন মোল্লা ০১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের অভিযোগ দাখিল করে। ৩ জানুয়ারি ২০১১ আজকের বার্তা পত্রিকায় মেহেন্দিগঞ্জের ওসি এবং এসআই নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।তদন্তের নামে উক্ত ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়।

 

৩জুন ২০১১ নয়ন জোমাদারের বাহিনীর সন্ত্রাসী কবীর মৃধা,এনামুল জোমাদার,রফিক আকন সহ ২৪ জন সন্ত্রাসীরা শ্রীপুর বাঁধের পাড়ের জোড় মসজিদের সামনে থেকে মামুন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায়।নয়ন জোমাদারের বাড়িতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আটকিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে।শ্রীপুরের মেম্বার শাজাহান মৃধার সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা পরে আদালতে এমপি ৯২(সিআর ৭৮/১১) মামলা দায়ের করা হয়েছে।উক্ত মামলার ১নং আসামি কবির মৃধাকে বাদী সাজিয়ে মামুন মোল্লার ছোট ভাই সুমন ঢাকার গাজীপুরে সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে চাকরিতে ছিলেন।বড় ভাই নোয়াখালীতে মাছের ব্যবসায়ীকে সহ আ.লীগ নেতা মরহুম অহিদুজ্জামান বেপারী,কাদের নলী,মোঃ কুদ্দুস মোল্লা ৬জন আসামি কবীর মৃধার মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মাহেব মিয়ার অনুসন্ধানে কবির মৃধার মামলা এমপি ৯৯/২০১১ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

কবীর মৃধার মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিরা ৩০ অক্টোম্বর ২০০৬ বিজিপি(মতিন গ্রুপ) থেকে আ আ.লীগে যোগদানকারী নেতা মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা,মেম্বার মাহমুদ বেপারী,আ. লীগ থেকে ফকরুদ্দীন তত্ত্বাবধায়কের আমলে পদত্যাগকারী মমতাজ উদ্দিন মৃধাকে ৭ লাখ টাকা ঘুষের মাধ্যমে ম্যানেজ করে মেহেন্দিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি জুলফিকার আলী গাজ্জালীকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে এম মাজহারুল ইসলাম মামুন মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক মামলা সাজিয়ে চালান দিতে বাধ্য করেছে।

১৯ আগস্ট ২০১১ রাত ১টা ৩৭ মিনিটের সময় ওসি জুলফিকার আলী গাজ্জালী,এসআই ফারুক মৃধা,এসআই আনসারুজ্জামান,এস আই ফরিদ,এএসআই শহীদ,এএসআই তারেক সহ ৮/১০ জন পুলিশ সদস্য ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করে ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে বক্সখাট,বাক্স,সুকেজ ভাংচুর করে নগদ ৩৮ হাজার ৫শ টাকা ২টি মোবাইল সেট সোনার অলংকার ৮ ভরি ৭ আনা ৪ রত্তির,এনআইডি কার্ড,শিক্ষার সনদপত্র,এমসি,জমাজমির কাগজপত্র সহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এম মাজহারুল ইসলাম মামুন মোল্লাকে থানায় ২ দিন আটক রেখে ২২ জুলাই ২০১১ বরিশাল থাকলেও শ্রীপুরের বাজারের যুবরাজ শেখের দোকানের সামনে ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা দিয়ে ২১ আগস্ট ২০১১ জিআর ২০৪ মামলার বাদী মঞ্জু শেখ।কথিত বাদীর বিরুদ্ধে মামুন বাদী সিআর ২১ /২০১১,সিআর ৭৮/২০১১ বরিশাল পুলিশ সুপারের অফিস স্মারক ৩০৬ভি ২০১১ মামলা সহ ৮/১০ মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন।বাদীর নাম ঠিকানা ও সঠিক নয় এবং স্বাক্ষর জাল করে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে এই মামলাটির বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ

প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্টমন্ত্রী,আইনমন্ত্রী,আইজিপি,ডিআইজি,ডিসি,এসপির কাছে করায় মামলা অব্যাহতির নির্দেশ দেন।কিন্তু পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ গোপনে অভিযোগপত্র দায়ের করেছে।ওই মিথ্যা মামলায় চার্জশিট দেয়ায় মেহেন্দিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি জুলফিকার আলী গাজ্জালীকে সহ সকল পুলিশকে দূর্নীতির দায়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

আসামীরা বিএনপির দলীয় সন্ত্রাসী হলেও আ.লীগ নামধারী মেম্বার মাহমুদ বেপারী,মমতাজ মৃধা,মোঃ হারুন মোল্লার মদদে ভুমিদস্যু,চাঁদাবাজ, চুরি-ডাকাতি,মাদক ব্যবসা,জাল টাকার ব্যবসায়ী ইত্যাদি জঘন্যতম অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।
১৪ আগস্ট ২০১১ যুগান্তর পত্রিকা সহ ২৮ টি পত্রিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের রহস্য তাদের দলীয় প্রভাবশালী নেতা শহীদুল হক জামাল সহ ১০ নেতার বক্তব্য ১৫ আগস্ট ১৯৯১ সালে জন্মদিন পালন শুরু হয়েছে।কিন্তু তার সঠিক জন্মদিন ৬ আগস্ট ১৯৪৬ সালে প্রমাণিত হয়েছে।বরিশালের স্হানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ও জাতীয় যুগান্তর সহ একাধিক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখিত সংবাদটি প্রকাশের পর মাত্র ৫ দিনের মধ্যে এম মাজহারুল ইসলাম মামুন মোল্লাকে পুলিশ অপহরণ করে নিয়ে যায়।মেহেন্দিগঞ্জ থানায় ২ দিন আটক রেখে জিআর ২০৪/২০১১ মিথ্যা মামলা সাজিয়ে চালান দিয়েছে।মিথ্যা মামলা জিআর ২০৪/ ২০১১ বিচাক ৭৮ ধার্য তারিখে হাজিরা গ্রহণ পূর্বক ১১ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ১৯ নভেম্বর ২০১৭ খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা কয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিকার হয়ে আইনী জটিলতা আটকা পড়ে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন বিরত করেছে।

এসকল ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ১৩ মার্চ ২০১২ তারিখে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শ্রীপুর বাজারে জলিল মোল্লার টিনের আড়তের সামনে শেখ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পাইপগান,পিস্তল,বন্ধুক,রামদা,চাপাতিয়ার,সরকি,টেডা ইত্যাদি জীবন নাশক অস্ত্রাদি নিয়ে সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন বেপারী কে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টায় জখম করেছে।

মামুন মোল্লা কে মিথ্যা ভিডিও করার অজুহাত দেখিয়ে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে নগদ ৩৪ হাজার ৭শ টাকা মোবাইল সেট সোনার চেইন নিয়ে যায়।চারদলীয় জোট সরকার আমলে ১৩ জুন ২০০৪ থেকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা মামুন মোল্লার বাড়ির ও পাশ্ববর্তী মঞ্জু শেখ বাহিনীর মাধ্যমে ৪২ শতক জমি জবরদখল করে নিয়েছে।ওই জমিতে থাকা গাছ বিভিন্ন তারিখে ৭ লাখ ৮০ টাকার মূল্যের বিক্রি টাকা আত্মসাৎ করেছে। রেন্ডি,কড়াই,মেহেরগনি,চাম্বল ইত্যাদি গাছ কেটে নিয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮ ডিসেম্বর ২০১৩ মঞ্জু শেখ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পিস্তল,পাইপগান,রামদা,টেডা সরকি ইত্যাদি নিয়ে মামুন মোল্লার বসত বাড়ির ৮টি রেন্ডি,মেহেরগনি সহ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ কেটে নেয়া শুরু করলে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উক্ত অভিযোগ গ্রহণ না করায় বরিশাল বিভাগীয় রেঞ্জ ডিআইজি,আইজিপি,এসপির কাছে অভিযোগ করায় ৮ ডিসেম্বর ২০১৩ রাতে মেহেন্দিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি রিয়াজ উদ্দীন(পিপিএম),ওসি তদন্ত মাসুম তালুকদার,এসআই সালাম মোল্লা,এসআই জহিরুল ইসলাম,এএসআই মিলন সহ ৭জন পুলিশ রাত পৌনে দুইটায় মামুন মোল্লার ঘরের সামনে এসে দাড়িয়ে ডাক-চিৎকার দেয়ায় দরজা না খোলায় জোরপূর্বক দরজা-জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেছে।মামুন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায়।পরের দিন মেহেন্দিগঞ্জ থানার সাধারণ ডায়রি ৩৯৬ ক্রমিক(২৪) ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ চালান দেয়া হয়েছে।গত ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সহ ১০ দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বরিশাল সরকারি দপ্তরে থাকা সত্ত্বেও শ্রীপুর ইউনিয়নের শেষ সিমান্তে মহিষমারী চরের সেন্টু রাড়ীর সাথে ভোলার বাসিন্দাদের মহিষের ঘাস খাওয়ানো নিয়ে মারামারি হয়।ওই মামলায় ভোলার কৃষকদের আসামি করা হয়েছে।কিন্তু বাদী ও স্বাক্ষীর অজ্যান্তে এম মাজহারুল ইসলাম মামুন মোল্লাকে শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখিয়েছে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ মিথ্যা মামলায় শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখানো অপরাধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম শোকজ নোটিশ দিয়েছে।

বিএনপির সন্ত্রাসীরা ২০০১-২০০৭ পর্যন্ত ৬টি মিথ্যা মামলা ও ১৩ বার অপহরণ করে হত্যা চেষ্টায় নির্যাতন চালিয়েছে।
নয়ন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ৯ এপ্রিল ২০০৩ রাত ৮ টায় চরবগী ঈদগাহ এরব দাখিল মাদ্রাসা উত্তর পাশ্বে রাস্তায় মামুন মোল্লাকে আটকিয়ে গলায় অবৈধ অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক নগদ ৬ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ ৪৫ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে।খুনের চেষ্টায় পিটিয়ে জখম করে।

বরিশাল পুলিশ সুপার অফিস স্মারক নং ১৯৫৪/২০০৩ অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির আমলে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ শুক্রবার ইত্তেফাক, যুগান্তর,প্রথম আলো সহ ২৪ টি পত্রিকায় “মেহেন্দিগঞ্জের জনগণ ৮ বাহিনীর সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল ২০০৪ সন্ধ্যা ৭ টায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা মামুন মোল্লা ও আ.লীগ নেতা ইউসুফ মিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে বিএনপির অফিসে আটকিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে।

২০০৪ সালের রমযান মাসের ১৪ ই রমযান মামুন মোল্লাকে শ্রীপুরের মাসজিদ থেকে আসর নামাজের পরে তুলে নিয়ে পাতারহাট রেখে ২ আটকিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে ওসি শাহনুর,এসআই সত্তারের সহযোগিতায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর ২০০৫ মামুন মোল্লা ও ইউসুফ মিয়াকে আটকিয়ে নির্যাতন করে বিএনপির সন্ত্রাসীরা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ইউসুফ মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
ভোলার সিমান্তবর্তী বাহেরচর গ্রামের সুলতান সরদারের ছেলে জুলহাস উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম(৩০) গৃহবধূকে বাদী সাজিয়ে মামুন মোল্লার চাচাতো চাচা রাশেদ মোল্লার ও মামুন মোল্লার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলা নং এমপি ০৭/২০০৬ একটি ভুয়া ঘটনা সাজানো নাটকের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন।মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।কিন্তু রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরে সচিব সোলেমান ও মোকলেছুর রহমানের সহযোগিতায় ১৯ ডিসেম্বর ২০০৬ ইউএনওকে প্রত্যাহারের পরে নতুন ইউএনও অফিসে যোগদান করায় মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাদী সুফিয়া।সে মামুন মোল্লাকে কোন চিনতে না বলে জানিয়েছেন।একাধিক বার মামলা ও হামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

বিএনপির সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বরিশাল পুলিশ সুপারের অফিস স্মারক নং ৩০৬ভি/২০১১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ও ৩৬৫ (অপরাধ-১) ১ অক্টোম্বর ২০১৫,আইজিপি অফিস স্মারক নং ২৯১৩ (ডিসিপ্লিন) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এবং ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০১৪।এআইজি (অপরাধ পশ্চিম) স্মারক নং ৭৫২, ২০ আগস্ট ২০১৪ অভিযোগ বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অফিস স্মারক নং ২৪১ভি/২০১৫,২৭ অক্টোবর ২০১৫ বরিশাল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন), মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক,অতিরিক্ত সুপার(অপরাধ সদর) প্রশান্ত কুমার দে,সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল গৌরনদী) এএসপি নাঈমুর রহমান তদন্তের নামে ষ্টোনো”র মাধ্যমে আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্টমন্ত্রী,আইনমন্ত্রী,প্রধান বিচারপতি,দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান,আইজি
পি,ডিআইজি,ডিসি,এসপির কাছে সুবিচার চেয়ে একাধিক বার আবেদন করা সত্ত্বেও সুরাহা হয়নি।

পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি) সাংবাদিকদের জানিয়েছে-অপরাধী যে হোক তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। ওই ঘটনাটি অত্যান্ত ন্যক্কারজনক বটে।অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করলে কোনো পুলিশ ছাড় পাবেনা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাংচুর ও লুটপাট-অগ্নিসংযোগ জঘন্যতম অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে।উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।ইতিমধ্যে পুলিশ অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বদলী করা হয়েছে।পুলিশ সদরদপ্তরের তত্ত্বাদায়নে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপির ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭১১-৫৪—-৬৯ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে,সরাসরি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেছেন,অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আইজিপিকে এবিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়।তদন্তে গাফিলতি বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন,সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির ব্যবহৃত মুঠোফোন 01731-25–20 নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে,তিনি সাংবাদিকদের সরাসরি জানান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকাকালীন এধরনের ঘটনা ফিল্মকেও হার মানিয়েছে।

বরিশাল পুলিশ সুপার স্মারক ৩০৬ভি/২০১১,২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ অভিযোগটি সরকারী বিভিন্ন সংস্হার তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত হওয়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় সহ ১০টি দপ্তরের নির্দেশনার অবজ্ঞা করে,পুলিশ প্রশাসন বিএনপির জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।ঘটনার সাথে জড়িত বিএনপির সাবেক এমপি সহ সংশ্লিটদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD