ভোলায় ভূয়া ডাক্তারে চক্ষু শিবির চালাচ্ছে ভোলা আই হসপিটাল Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ভোলায় ভূয়া ডাক্তারে চক্ষু শিবির চালাচ্ছে ভোলা আই হসপিটাল

ভোলায় ভূয়া ডাক্তারে চক্ষু শিবির চালাচ্ছে ভোলা আই হসপিটাল




ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চক্ষু শিবির পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে ভোলা শহরের আই হসপিটাল নামে একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। মেডিকেল এসিস্টেন্ট সার্টিফিকেট ধারি এক যুবক জুয়েল হাওলাদারকে ডাক্তার সাজিয়ে ভোলার বিভিন্ন গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের নামে অপচিকিৎসা চালাচ্ছে আই হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তার না হয়ে চোখের অপারেশনের মতো কঠিন কাজটি জুয়েল হাওলাদারকে দিয়ে করানো হয় বলে একাধিক রোগী অভিযোগ করেন। গত ১৪ মে ধনিয়া ইউনিয়নে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করার সময় গ্রাম পুলিশ তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে আসে।

জানা গেছে, ভোলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ভবনে মোঃ তামিম আই হসপিটাল নামে একটি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার চালু করেন। মোঃ তামিমের মালিকানায় ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এনায়েত হোসেন পরিচালনায় বিভিন্ন সময় ভূয়া ডাক্তার এনে সাধারন রোগীদেরকে ধোকা দিয়ে চিকিৎসা দিতো।

তারা মেডিকেল এসিস্টেন্ট সার্টিফিকেট ধারি এক যুবককে ডাক্তার সাজিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোলার বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছিলো।

রোগীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নেওয়া হলেও তাদের কাছে ৫ হাজার টাকার ঔষধ বিক্রি করতো আই হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ মে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাসির মাঝি বাজার এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে আই হসপিটাল কর্তৃপক্ষ।

এসময় ডাক্তারের সার্টিফিকেট নেই এমন গুঞ্জন উঠলে গ্রাম পুলিশ গিয়ে ডাক্তার জুয়েল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে নিয়ে আসে। পরে অজ্ঞাত কারনে ভুয়া চিকিৎসক জুয়েল হাওলাদারকে ছেড়ে দিলে সে পুনরায় মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে নাসির মাঝি এলাকায় যায়। এসময় এলাকাবাসী তাকে ক্যাম্প করতে বাঁধা দেয়।

একাধিক রোগীর বলেন, আমরা এই ফ্রি মেডিকেলে আসলে ডাক্তার জুয়েল হাওলাদার আমাদের চোখ পরীক্ষা করে অনেক গুলো ঔষধ দেয়। আবার অনেক রোগীকে চোখে অপারেশন লাগবে বলে।

তাদের অপারেশন ডাক্তার জুয়েল নিজেই করেন।জুয়েল হাওলাদার (২৮) কাছে কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট পেশাদার রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেটের (ফাস্ট এইড) একটি ফটো কপি দেখায়। পরে ফ্রি মেডিকেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে আই হসপিটালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এনায়েত হোসেন বলেন, জুয়েল হাওলাদারকে দিয়ে আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করে রোগীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে তাদের চোখে সানি আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করি। তবে চোখের অপারেশন ঢাকা থেকে ডাক্তার এনে করানো হয়।তবে আই হসপিটালের মালিক মোঃ তামিমের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD