শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
থানা প্রতিনিধি: বানারীপাড়ায় সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠি গ্রামে আদালতের রায় অমান্য করে রাতের আধাঁরে বিমান বাহিনীর ফ্ল্ইাট সার্জেন্ট (অব.) এইচ এম মকবুল আহম্মেদ,সার্জেন্ট মাইনুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট জাকির হোসেনের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে তোলা সেই ঘরটি গত প্রায় দুই সপ্তাহেও অপসারণ করা হয়নি।
উপরন্তু সেখানে মাটি কেটে ও কলা গাছ লাগিয়ে দখল আরও পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চলছে। ফলে ২৯ এপ্রিল বিমান বাহিনীর ফ্ল্ইাট সার্জেন্ট (অব.)এইচ এম মকবুল আহম্মেদ এ ব্যপারে আইনী সহায়তা চেয়ে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জানা গেছে- উপজেলার মাদারকাঠি গ্রামের মৃত হাজী আতাহার আলী ডিক্রিমূলে ৬২ শতাংস সম্পত্তির মালিক হয়ে গত প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।
ওই সম্পত্তিতে তার ছোট ছেলে কবির হোসেনের পানের বরজ সহ বিভিন্ন গাছপালা রয়েছে। ওই সম্পত্তির ক্রয় সূত্রে মালিক দাবীদার পার্শ্ববর্তী সৈয়দ নজরুল ইসলাম গংদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে হাজী আতাহার আলী ও তার ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস মিমাংসার বৈঠক করেও দু’পক্ষের মাঝে সৃষ্ট দ্বন্ধ মেটাতে ব্যর্থ হন।
পরে এ ব্যপারে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত দু’দফা হাজী আতাহার আলীদের পক্ষে ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানার রায় দেয়। ২০০৪ সালে ওই রায়ের বিপক্ষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম গং আপিল করেন। যা গত ১৫ বছর ধরে চলমান রয়েছে। এ মামলা চলমান অবস্থায় ২২ এপ্রিল গভীর রাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী স্থানীয় সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহিনুর বেগমের নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন নিয়ে পানের বরজ বিনষ্ট করে ছোট আকারের একটি ঘর তুলে ওই সম্পত্তি জবর দখল করে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ওই তিন বিমান ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্টের ভাই মো. কবির হোসেন ২৩ এপ্রিল সকালে ১৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠি গ্রামের সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তার ভাই সৈয়দ নুরুল হক ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম,চাচা সৈয়দ জাহাঙ্গির,সৈয়দ মো. হানিফ,সৈয়দ মো. সেলিম,নুরুল হকের স্ত্রী স্থানীয় সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহিনুর বেগম ও চাচি আলেয়া বেগম এবং শেফালী বেগম ।
এছাড়া ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়। এদিকে ২৪ এপ্রিল দুপুরে অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য শাহিনুর বেগম থানায় গেলে ওসি খলিলুর রহমান তাকে অবৈধভাবে নির্মিত ওই ঘরটি সরিয়ে ফেলতে বলেন।এছাড়া তিনি দু’পক্ষকে দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সন্ধ্যায় থানায় হাজির হতে বলেন।
কিন্তু গত দু’সপ্তাহেও অবৈধভাবে উত্তোলণ করা সেই ঘরটি সরিয়ে ফেলা হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কে বেশী ক্ষমতাধর ওসি নাকি নারী ইউপি সদস্য। এ প্রসঙ্গে ওসি খলিলুর রহমান জানান- অবৈধভাবে ওই সম্পত্তিতে প্রবেশ করে ঘর উত্তোলণ ও পানের বরজ নষ্ট করায় ক্ষতিগ্রস্থরা ফৌজদারী মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যপারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম গং দাবী করেন ওই সম্পত্তি তারা সাব কবলা মূলে ক্রয় করেছেন। তবে কবির হোসেন গং জানান তার পিতা হাজী আতাহার আলী ৪০ বছর পূর্বে ওই সম্পত্তি ডিক্রী মূলে মালিক হয়ে ভোগ দখল করে আসছেন।
Leave a Reply