মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
উজিরপুর সংবাদদাতা: বরিশাল জেলার উজিরপুরের ধামুড়া বাজারে একাধিক প্রভাবশালীরা প্রাকাশ্যে নদী দখল করে বহুতল পাকা ভবন নির্মানের মহা উৎসবে মেতেছে। প্রশাসনের নিরবতার কারনে ধামুড়া এলাকায় সন্ধ্যা নদীর প্রায় ১ কিলোমিটার তীর দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালিরা। তারা সেখানে নির্মান করেছেন দেকান ঘর ও বসত বাড়ি।সরেজমিনে দেখাগেছে, গৌরনদী-ধামুড়া-মিরেরহাট এলাকাজুড়ে সন্ধ্যা নদীর ধামুড়া পয়েন্টের বাজার এলাকায় পশ্চিম পাড়ে ২৫ টির মতো দোকান রয়েছে। যার প্রতিটিই নদীর বিশালাংশ দখল করে নির্মান হয়েছে।
এছাড়া জমির আকাশচুম্বি দাম হওয়ায় প্রভাবশালী অবৈধ ভাবে নদীরে বিশাল অংশ দখল করে বহুতল বাসভবন নির্মান করেছেন। এক্ষেত্রে পানি উন্নায়ন বোর্ড থেকে নদী ভাঙ্গন রোধে ফেলানো ব্লকও সরিয়ে ফেলেছে অবৈধ দখলদাররা।শোলক ইউনিয়রের সাবেক ইউপি সদস্য ও পূর্ব ধামুড়া গ্রামের মন্নান ফকির প্রকাশ্যে তার দোকানের পিছনে নদীর মধ্যে বেশ কয়েকফুট জমি দখল করে বহুতলা ভবন নির্মান করেছেন। কিন্তু তিনি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
মন্নান ফকিরের পাশেই নদী দখল করে ভবন বানিয়েছেন অপর প্রভাবশালী ছত্তার খন্দকারের পুত্র মানিক খন্দকার। আগৈলঝাড়া উপজেলা বিআরডিবিতে কর্মরত এইচ এম নাসির উদ্দিন নিজের দোকানের সাথে নদী দখল করে বাসভবন নির্মান করেছেন।
এছাড়াও কাংশি গ্রামের জাকির হোসেন, পৃর্ব ধামুড়া গ্রামের রহিম হাওলাদার, জাহাঙ্গীর বেপারী, রুনু বনিক, বাবুল সিকদার, পলাশ কুন্ড, অশোক সাহা সহ একাধিক ব্যক্তি নদী দখল করে কেউ বাসভবন আবার কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছেন।অভিযুক্ত মন্নান ফকির বলেন, ডিসির পিয়ন থেকে শুরু করে সার্বেয়ার সহ সকলকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বিল্ডিং করেছি। এটা উচ্ছেদ করতে হলে আগে অন্যগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। তার পরে যেন আমারটা করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নদীর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার। তবে কবে নাগাদ নদী দখল মুক্ত ও উদ্ধার অভিযানে নামবেন সে বিষয়টি জানাতে পারেননি তিনি।উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, সরকার নদী দখল রোধে জিরো ট্রলারেন্সে দেখিয়ে যাচ্ছেন। তাই দখলকারী যেই হোক কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না। আমরা খুব শিঘ্রই নদী দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে নামবো।
Leave a Reply