সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি,।। কলাপাড়ার ধুরাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামে স্বামী সিদ্দিককে মারধর করে বেধে রেখে নিঃসন্তান গৃহবধু আসমা বেগমকে (৩০) গণধর্ষণ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি রবিউল ও মামুনকে আদালত পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুল আলম দুই আসামিকে আজ বুধবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমানের আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার তিন নম্বর আসামি রবিউল ও অজ্ঞাত আসামি মামুনকে পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। ১৫ এপ্রিল রাতে ধৃত আসামিসহ ১৫/১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এদম্পতির ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়ে।
স্বামীকে বেধে তার সামনেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে স্ত্রীকে। ঘটনার রাতে এনিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সিদ্দিক ও তার স্ত্রী আসমা মঙ্গলবার সকালে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেও সিদ্দিককে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু তার স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে গড়িমসি করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা দুপুরে হাসপাতালে গেলে আসমাকে ভর্তি দেখানো হয়। কিন্তু সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর অবস্থা আরও অবনতি ঘটলে উভয় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়।
১৭ এপ্রিল (বুধবার) দুপুরে এ ঘটানায় শাহালম মাঝি কে প্রধান আসামী করে শাহীন, রবিউল, আল আমিন, আব্দুর রশিদ ও শাকিল মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আট জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে গৃহবধুর স্বামী সিদ্দিক হাওলাদার।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ১৫ এপ্রিল রাতে স্ত্রী আসমাকে নিয়ে খালা হাসিনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় সিদ্দিক হাওলাদার। খাওয়া-দাওয়া শেষে কথা বলছিলেন। এসময় আসামিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে সিদ্দিক হাওলাদারকে মারধর করে বেধে প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফায় পাশর্^বর্তী মাছের ঘেরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, বাকি আসামি গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িতরা নিজেদেরকে এলাকায় নব্য হাইব্রিড হিসেবে জাহির করে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে।
Leave a Reply