পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥  পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নূর”ল ইসলাম ভুট্টোর মাদক ও নারী আসক্তি ও যৌতুক আদায়ের কারনে স্ত্রী মোসাঃ র”মা পারভীনকে প্রতিনিয়ত মারধরের ফলে স্ত্রী সহ দুই সন্তানের জীবন আজ অনিশ্চয়তার পথে।

স্ত্রী র”মা অভিযোগ করে জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন খলিসাখালী গ্রামের এয়াকুব আলী মৃধার ছেলে নূর”ল ইসলাম ভুট্টোর সাথে ২০১০ সালে পটুয়াখালী ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের মোঃ গিয়াস উদ্দিন মাঝির মেয়ে মোসাঃ র”মা পারভীনের মুসলিম শরা শরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবায়ের সময় র”মার বাবা নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার, আসবাবপত্র উপঢৌকন দিয়ে মেয়েকে স্বামীর বাড়ী তুলে দেন।

বিবাহের পর কিছুদিন র”মা স্বামীর সাথে সুখেই সংসার করছিল। পরবর্তীতে নুর”ল ইসলামের মাদকদ্রব্য সেবন, নষ্টা ও নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকালাপের ফলে সাংসারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সমাধান হলে আবার কিছুদিন সংসার ভালভাবে চলে। এরমধ্যে র”মার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

এরপর হুন্ডা ক্রয় করার কথা বলে র”মাকে অত্যাচার করে টাকা আদায় করে নেয়। ভুট্টো অনেক দিন যাবৎ দেহ ব্যবসায়ী আসমাকে বাড়ীতে নিয়ে ফুর্তি করে এবং র”মাকে প্রতিনিয়িত নির্যাতন করে। এসকল বিষয় ভুট্টোর বাবা মাকে জানালে তারা কোন প্রতিকার বা সমাধান না দেওয়ায় অত্যাচার সইতে না পেরে ছেলে নুহাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে ভুট্টো ভাল হয়ে যাব বলে ছলনা করে পুনরায় স্ত্রী সন্তানকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। বাড়ীতে নিয়ে আসার পরে জমি কিনবে বলে তিন লক্ষ টাকার যৌতুক বাদী করে র”মা তার বাবার বাড়ী থেকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় র”মাকে অমানবিক ভাবে অত্যাচার করে গুর”ত্বর আহত করে। এ খবর জানতে পেরে র”মার বাবা মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় র”মার বাবা ভুট্টোর বির”দ্ধে নারী শিশু ও যৌতুক মামলা করেণ। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মাহামান্য আদালত করেক বার ভুট্টোকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ভুট্টো জামিনে ছারা পায়। ভুট্টো ভাল হয়ে যাবে বলে র”মার বাবার কাছে গিয়ে বলে আপনি মামলা তুলে নেন। সে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সংসার করবে। এভাবে কিছু দিন চলতে থাকে। এরপর র”মার আর একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।

বর্তমানে ভুট্টো ছোট চৌরাস্তা সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় পটুয়াখালী নিষিদ্ধ পল্লীর মাদকাসক্ত লিপি আক্তার (চুকানি) নামে একটি মেয়েকে নিয়ে বিবাহ ছাড়া সংসার করছে এবং রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে র”মা জানান। এই মাদক ব্যবসায় এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা ভুট্টোকে মদদ দিচ্ছে। যে মেয়েটিকে নিয়ে বসবাস করছে সে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। এর পূর্বেও ঢাকাতে ২টি বিবাহ করে ভুট্টো। নারীদের সাথে প্রতারনা তার পুরনো খেলা।

ভুট্টো তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে এবং বিয়ে ছাড়া লিপিকে নিয়ে অবৈধ সংসার করছে। ভুট্টোর এহেন কর্মকান্ডে স্ত্রী র”মা সহ দুই সন্তানের জীবন এখন অনিশ্চয়তার পথে। র”মা এখন আইনের কাছে এর সুবিচার দাবী করেছেন।

এবিষয়ে ভুট্টো তার ২য় বিবাহের প্রমানাদি চাইলে সে দেখাতে ব্যর্থ হয়। সে বলে র”মাকে নিয়ে সে সংসার করবে না। সে চুকানিকে নিয়ে সংসার করবে।