শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে চকবাজারে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনাক্ত করা হয়েছে মোট ৩৭টি লাশের পরিচয়।বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে এই হস্তান্তর কাজ শুরু হয়।হস্তান্তর করা মরদেহগুলো হচ্ছে ১৫ নম্বর ব্যাগে রাখা অছি উদ্দিন (২৩), পিতা-নাসির উদ্দিন, ধানমণ্ডি, ঢাকা; ৩৬ নম্বর ব্যাগে রাখা কামাল হোসেন (৪৫), পিতা নূর মোহাম্মদ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী; ১৪ নম্বর ব্যাগে রাখা মাহফুজুর রহমান বাবু (৪০), পিতা- মাহফুজুর রহমান, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী; ৪৭ নম্বর ব্যাগে রাখা হাফেজ মো. কাউসার (২৬), পিতা-মো. খলিলুর রহমান শ্রীপুর, হোমনা, কুমিল্লা, ৪২ নম্বর ব্যাগে রাখা আলী হোসেন (৬৫) পিতা মৃত বুলু মিয়া, সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী; ইয়াছিন (৩৩), পিতা-আ. আজিজ, শাহাদত হোসেন, পিতা মোসলেম উদ্দিন, ১৭, কেবি রোড, চকবাজার, ঢাকা ও ৩৪ নম্বর ব্যাগে রাখা আবু বকর সিদ্দিক (২৭), তার পিতার নাম পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহটি গ্রহণ করেছেন ওসমান গনি গ্রাম: মোহাম্মদপুর, থানা: হাজীগঞ্জ, জেলা: চাঁদপুর। হস্তান্তর হওয়া অপর ৭টি মরদেহর বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।লাশ হস্তান্তরের সময় প্রত্যেককে সরকারিভাবে নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে সৎকারের জন্য। ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে সৎকারের অর্থ দেওয়া হচ্ছে লাশ হস্তান্তরের সময়।এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায তদন্তে ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।যে ৩৭টি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন: নোয়াখালীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির মো. সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩০) ও রাজু (২৮), একই ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামের মিয়ন হাজি বাড়ির ভুলু মিয়ার ছেলে মো. আলী হোসেন (৫৫), বটতল গ্রামের শাহাদাত হোসেন হিরা (২৭), মির্জা নগরের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (২৮), নাছির উদ্দিন (২৯), মো. বাবু ও কামাল হোসেন; চক বাজারের মোহাম্মদ আলী, অপু রায়হান, মো. মাসুদ রানা ও তার ভাই শাহাবুবুর রহমান, নোয়াখালীর সিদ্দিকুল্লাহ, কুমিল্লার মো. খবির উদ্দিন নাইম, মো. ইলিয়াস আলী মিয়া, চকবাজারের মো. ইয়াসিন খান রনি, চকবাজারের সুমি আখতার, স্বামী মিটু, তাদের তিন বছরের শিশুপুত্র সাহির, সোনাইমুড়ির আয়েশা খাতুন ও হেলাল উদ্দিন, চকবাজারের মো. জুম্মন (৩২), পটুয়াখালীর এনামুল হক, কুমিল্লার হাফেজ মো. কাউসার ও শাহাদত, কুড়িগ্রামের মোরশেদ আলম, পটুয়াখালীর মো. এনামুল হক।শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিজুল হককে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর, বিস্ফোরক অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সমিতির একজন করে প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে আছেন।বিসিক পরিচালক (প্রকল্প) মো. আব্দুল মান্নান কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যোগাযোগ করার জন্য একটি ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে (০২৯৫৫৬০১৪)। এছাড়া ঘটনাস্থলে পাশে যে চকবাজার থানা সেখানেও ক্ষতিগ্রস্তরা যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়া স্থানীয় সিটি করপোরেশনের অফিস আছে, সেখানেও যোগাযোগ করা যাবে।যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি তাদের মরদেহের ডিএনএ টেস্ট করা হবে ঢামেকে। এরপর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply