স্বপ্নভাঙ্গা এক মেধাবীর কান্না,সুতার মিলে কাজ করে জমানো টাকায় শিক্ষাজীবন শুরু করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণ হচ্ছেনা মীমের Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে – মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ জাকসুতে শিবিরের চমকপ্রদ উত্থান, ছাত্রদলের ভরাডুবি! পটুয়াখালী নয়, বরিশাল পর্যন্ত রেলওয়ের প্ল্যান : নৌ-উপদেষ্টা জামায়াত মুসলিম ব্রাদারহুড নেটওয়ার্কের অংশ: হর্ষ বর্ধন ডাকসু নির্বাচনে নতুন রাজনৈতিক ম্যাট্রিক্স: ব্যারিষ্টার ফুয়াদ অবরুদ্ধ গাজায় দুর্ভিক্ষ-হামলা মিলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিকল্প নেই: প্রধান উপদেষ্টা পুলিশের জন্য স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা অনুমোদন উপদেষ্টা পরিষদের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা দুই মাস বাড়ল স্বস্তিকা বললেন, ৪৪ বছরেও ভীষণ হট আমি




স্বপ্নভাঙ্গা এক মেধাবীর কান্না,সুতার মিলে কাজ করে জমানো টাকায় শিক্ষাজীবন শুরু করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণ হচ্ছেনা মীমের

স্বপ্নভাঙ্গা এক মেধাবীর কান্না,সুতার মিলে কাজ করে জমানো টাকায় শিক্ষাজীবন শুরু করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণ হচ্ছেনা মীমের




তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে প্রাথমিকের গন্ডি পেরোলেও মানসুরা মীম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি আর্থিক দৈণ্যতায়। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার সহপাঠীরা যখন বই খাতা নিয়ে স্কুলে যেতো,ঠিক সেই সময়ে তাকে যেতে হয়েছে সুতার কারখানায়। দুই বছর সুতার কারখানায় দিনরাত কাজ করার কারনে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়া হয়নি মীমের। ক্ষুধা দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে দুই বছরের জমানো কিছু টাকা দিয়ে পরিবারের অসম্মতিতে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয় মীম।
কলাপাড়া উপজেলার সাগর ঘেষা ধুলাসার ইউনিয়নের চর চাপলী গ্রামের রিকশা চালক নাসির হাওলাদারে মেয়ে মীম গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজ পড়ার ফাঁকে প্রাইভেট পড়িয়ে শিক্ষাযুদ্ধ চালিয়ে এ বছর চর চাপলি ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। প্রাইভেট পড়িয়ে জমানো ১২শ টাকা দিয়ে আলহাজ্ব জালালউদ্দিন কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হলেও আর্থিক সংকটে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

মীমের ঘরে অসুস্থ্য মা জাকিয়া বেগম মৃত্যুশয্যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করালেও আর্থিক সংকটে এখন ঘরে বসে কোন রকম চিকিৎসা হচ্ছে। বাবা রিকশা চালিয়ে যা পায় তা দিয়ে অসুস্থ্য মায়ের ঔষধ, দু’মুঠো ভাত যোগাড় ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া ভাই আলাইহীমের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে মীমকে কলেজে পড়ানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তাই ঘরে রান্নার কাজ, অসুস্থ্য মায়ের সেবাসুশ্রুসা করে শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কয়েকটি প্রাইভেট পড়িয়ে কলেজে ভর্তি হলেও এখনও বই কেনা হয়নি মীমের। নেই কলেজে যাওয়ার একটু ভালো পোষাক। মায়ের অসুস্থ্যতায় আর্থিক দৈণ্যতায় চিকিৎসা করাতে না পারার দুঃখে ঘরের কোনে বসে গুমড়ে কাঁদলেও ভবিষতে তার মায়ের মতো কেউ যাতে কষ্ট না পায় তাই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন মীমের। কিন্তু মেধাবী এ মীমের স্বপ্ন হয়তো থেমে যাবে উচ্চ শিক্ষা শুরুর মাঝ সিড়িতে।

মানসুরা মীম জানায়, নিজের ইচ্ছা না থাকলে এখন আমি হয়তো কোন কারখানার শ্রমিক হতাম। শিক্ষা জীবনের দুই বছর ঝরে গেছে কারখানায় কাজ করে। ইচ্ছে আছে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু কে পূরণ করবে আমার স্বপ্ন। আমার বাবা রিকশা চালায়, মা ঘরে অসুস্থ্য মৃত্যুশয্যায়। কলেজে ভর্তি হয়েছি কিন্তু বই,খাতা কিনতে পারিনি। কেউ নেই সহায়তা করার। হয়তো থেমে যেতে হবে এখানেই । এতো কষ্ট করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলাম। কিন্তু এখন ?

মীমের মা জাকিয়া বেগম বলেন, মীমের মতো এতো কষ্ট করে কেউ পড়বে না। ক্লাস ফাইভ পাশ করার পর সিক্সে ভর্তি করাতে পারিনি টাকার অভাবে। দুই বছর ঢাকায় সুতার কারখানার কাজ করে ১০ বছর বয়সে সংসারের হাল ধরেছে। এবার কষ্ট করে ভালো পাশ করেছে। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে মীম। যেখানে আমি মৃত্যুশয্যায়। টাকার অভাবে ডাক্তার দেখাতে পারছি না, সেখানে মীমকে পড়াবো কীভাবে। কারো সহায়তা না পেলে হয়তো মীমের লেখাপড়া এখানেই বন্ধ হয়ে যাবে।

চাপলী গ্রামের স্কুল শিক্ষক মো. নুরুন্নবী জানান, মীম খুবই মেধাবী। কিন্তু ওর পরিবারে যখন ঠিকমতো চুলো জ্বলেনা, সেখানে মীমকে কীভাবে পড়াবে এ দূশ্চিন্তা তাদের। আর্থিক সহায়তা ছাড়া মীমের কীভাবে পড়বে। এখনওতো বই কিনতে পারেনি। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে সেখানে অনেক খরচ। এখন মানুষের সহায়তাই পারে মীমের শিক্ষাজীবন এগিয়ে নিতে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD