রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় বাসায় ফিরে যাওয়ার খেসারত হিসেবে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে এক শিশু শিক্ষার্থী। গত রবিবার নগরীর ২০নং ওয়ার্ডের বৈদ্যপাড়া এলাকার সাকসেস মডেল স্কুল এন্ড কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থী তানজিম (৯) কে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান স্বীকার করলেন রাগে মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় এমনটি করেছেন তিনি। যদি এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি তানজিমের অভিভাবকরা। তবে তাদের সিদ্ধান্ত ওই স্কুলে আর পাঠাবেনা তাদের সন্তানকে। পাশাপাশি এ ধরণের নির্যাতনের বিচার দাবী করেন তারা।
২৮নং ওয়ার্ডের চহুতপুর শেরে বাংলা সড়কের বাসিন্দা শিশু তানজিমের পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তার ছেলে (তানজিম) গত শনিবার কোচিং করতে যায়। কিন্তু কোচিং ক্লাস বন্ধ পেয়ে সে বাড়ি ফিরে আসে। পরের দিন অর্থাৎ গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে পুনরায় কোচিং করতে যায় তানজিম।
বেলা এগারোটার সময় শ্রেনী কক্ষ থেকে তানজিমকে অফিস কক্ষে নেয় শিক্ষক হাবিবুর রহমান। তিনি জানতে চান, শনিবার কেন কোচিং করতে আসেনি তানজিম। এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্র তানজিম বলে “স্যার আমি এসে দরজা তালা দেয়া দেখে বাসায় চলে গেছি।” তানজিমের কথা শুনে শিক্ষক হাবিব তার উপর চড়াও হন। অফিস কক্ষের দরজা আটকে এবং কোচিং সেন্টারের সিসি ক্যমেরা বন্দ করে জোড়া বেত দিয়ে পিঠাতে থাকে তানজিমকে।
এসময় তার ডাক চিৎকার শুনে অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে অফিসের জানালা বন্দ করে দেন তিনি। তানজিমের বাবা আরো বলেন, ছুটি শেষে তানজিম বাসায় গেলে তার শরিরে পোশাক খুললে ছেলের দুই হাতে লাল আকারে দাগ দেখতে পান তিনি। এ সময় কারণ জানতে চাইলে তানজিম তাকে জানায়, “স্যার দরজা জানালা বন্ধ করে আমায় মারধর করছে”।
এরপর তানজিমের মা ডাক্তারের কাছে গিয়ে তানজিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। এরপর তানজিমের মা তার ছেলেকে মারধর করার বিষয়টি শিক্ষক হাবিবুর রহমনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি উল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হন। তানজিমের বাবা বলেন, শিশুদের মারধর করার ব্যাপারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শুনেছি।
কিন্তু আমার ছেলেকে যেভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে তাতে তার জ¦র উঠে গেছে। তিনি তার ছেলেকে মারধরের বিচার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, রাগের মাথায় দু’একটা বারি দিয়েছেন।
অবশ্য তানজিমের মা তাকে বলেছিলেন ছেলে দুস্টুমি করলে শাসন করতে তাই। তিনি আরো বলেন, দরজা-জানালা বন্ধ করে পিটিয়েছি এটা সত্য নয়। এ সময় তিনি নিজেকে সংবাদকর্মী হিসেবেও পরিচয় দেন।
Leave a Reply