সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভর্তিপরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু ১১ দিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. এ কে এম মাহবুব হাসানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কেউ বলেছে, উপাচার্যের (ভিসি) পদটি শূন্য থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি পদের দায়িত্বে যেমন নেই, তেমনি ট্রেজারারের পদটিও ৮ অক্টোবর থেকে শূন্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এ তিন পদই হচ্ছে স্থানীয়ভাবে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদ। যা না থাকলে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মতো দায়িত্ব নেওয়ার কেউ থাকছে না।
ববি উপাচার্য ড. এ কে এম মাহবুব হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষাসহ সব তথ্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল। যেহেতু আমার মেয়াদ ৭ তারিখ শেষ। সেজন্য ওইদিন পর্যন্ত কী হবে তা বলতে পারব না। আমি এটুকু বলতে পারি ভর্তিপরীক্ষার যতটুকু প্রস্তুতি দরকার তা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যথাসময়ে ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই।
উপাচার্য বলেন, গতবছরের থেকে এবারে আবেদনকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ। গতবছর যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ২৫৪ জন, এবারের ভর্তিপরীক্ষায় আবেদনকারী ৪৯ হাজার ৯৫৬ জন অর্থাৎ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক মান উন্নয়ন হচ্ছে।
এদিকে নতুন উপাচার্য আসার তথ্যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্দোলনের মুখে পরে ছুটিতে যাওয়া সাবেক উপাচার্য এসএম ইমামুল হকের অনুসারী কর্মকর্তারা। তাদের কয়েকজন ইতোমধ্যে ঢাকায় ‘গুঞ্জন ওঠা উপাচার্য’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
গুঞ্জন রয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভিসি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই দু’জন হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব ও অন্যজন অ্যাকাউন্টিং বিভাগে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ভিসির অপসারণের দাবিতে ২৬ মার্চ থেকে টাকা ৩৫ দিনের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে। আর আন্দোলন শেষে অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও ২২ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার মতো সাহস দেখানো দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য’র অর্থাৎ ট্রেজারার ড. একেএম মাহবুব হাসানকে দেওয়া হতে পারে নতুন ভিসির দায়িত্ব। তার অল্পসময়ের দায়িত্বকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তেমন কারোরই তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। সাবেক উপাচার্য এসএম ইমামুল হকের কাছ থেকে যারা আন্দোলনের সময় অগ্রিম পদোন্নতি নিয়েছিলেন। তাদের যোগদান গ্রহণ না করায় গুটি কয়েক কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত রয়েছেন ড. এ কে এম মাহবুব হাসানের ওপর। আর তারাই এখন ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য।
Leave a Reply