বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি॥ প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে অসহায় হতদরিদ্র মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
এর মধ্যেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থার পাথওয়ে’র স্বেচ্ছাসেবীরা বসে নেই। গত দু’দিন ধরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের সাগরের মোহনায় রাবনাবদ নদী সংলগ্ন এলাকায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে তারা।
এ কার্যক্রমে পাথওয়ে’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো. বাসেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
পাথওয়ে’র সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার দুপুরে জেলে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) ও অসহায় হতদরিদ্র দুই শতাধিক শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এর আগের দিন রাতে লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়া আমখোলা পাড়ায় রাখাইন পল্লীর প্রতিটি পরিবারের মাঝে একটি করে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ হয়।
এছাড়া একটি কেরাতুল হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত দু’দিন ধরে চম্পাপুর ইউনিয়নের সাগরের মোহনায় রাবনাবদ নদী সংলগ্ন পাটুয়া, গোলবুনিয়া ও মাছুয়াখালী এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে পাথওয়ে’র সেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
তীব্র শীতে হাতে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি সহায়-সম্বলহীন মানুষরা। চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, এ কার্যক্রমের জন্য প্রথমে বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়েকে ধন্যবাদ জানাই। শীত নিবারণ করার সম্বলটুকুও যাদের নেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আর প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছেন তারা। পাথওয়ে’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, পাথওয়ে একটি বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা। পাথওয়ে সংকটাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
এরই ধারাবাহিকতায় তীব্র শীতে এ উপজেলার জেলে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা),অসহায় হতদরিদ্র ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply