বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধিঃ মুলাদীতে মামলা তুলে নিতে বাদীকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার বিবরনে জানাগেছে, মুলাদীর কাজিরচরে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের ঘটনায় স্বাক্ষী হওয়ায় এক যুবককে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর গ্রামের মৃত নাজেম আলী ঘরামীর পুত্র জালাল ঘরামীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে স্থানীয় আঃ বারেক ঘরামীর পুত্র আনিচ ঘরামীর সাথে।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৪অক্টোবর বেলা ১২টার সময় জালাল ঘরামী বাড়ীতে না থাকার সুবাদে আনিস ঘরামী, শাহজাহান ঘারামী তাদের লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-ষস্ত্র নিয়ে জোর পূর্বক জালাল ঘরামীর ক্রয়কৃত এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখলকৃত সম্পত্তিতে লাগানো ধান উপরে ফেলে সেখানে কাটাতার দিয়ে বেড়া দেয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চাড়া রোপন করে।
জালাল ঘরামীর স্ত্রী পারুল বেগম এতে বাধা দিতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয় আনিস ঘরামী ও তার লোকজন। এব্যাপারে জালাল ঘরামী তার ক্রয় কৃত সম্পত্তি ফিরে পেতে এবং তাকে দেয়া খুন-জখমের হুমকির বিচার চেয়ে মুলাদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জালাল ঘরামী একই গ্রামের আঃ মালেক চৌকিদারের পুত্র হান্নান চৌকিদারকে স্বাক্ষী করায় গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় প্যাদার হাট বাজারে মাছের টলঘরের সামনে পুর্বের থেকে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষের আনিচ ঘরামী, ইউসুফ ঘরামী, জমির মাল, বাচ্চু হাওলাদার, জাকির মাল, শাজাহান ঘরামী, সেলিম ঘরামী, রায়হান চৌকিদার দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে স্বাক্ষী হান্নান চৌকিদারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত হান্নানের ডাক চিৎকারে বাজারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় হান্নানের মামা জালাল ঘরামী বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ০৩/১০৯, তারিখ ০৬/১০/২০২১ইং। এরই জেরধরে আসামীরা গত ৯অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে প্যাদারহাট বন্দরের পূর্ব বাজার সোহরাফ খলিফার ফার্নিচারের দোকানের সামনে জালাল ঘরামীকে পথরোধ করে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি প্রদান করলে সে মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় আসামীরা, এসময় বন্দরের লোকজন ছুটে আসলে আসামীরা জালাল ঘরামীকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
Leave a Reply