বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধিঃ মুলাদীতে জয়ন্তী ও আড়িয়াল খা নদীতে মা ইলিশ নিধনের উৎসব করছেন জেলেরা, আর এর কারণ হিসেবে উপজেলা মৎস কর্মকর্তার সুভ্রত ঘোস্বামীর অদুরদর্ষিতা, অদক্ষতা এবং অব্যাবস্থাপনাকে দায়ী করছে সংস্লিষ্ঠরা। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালালেও নদীর তুলনায় প্রয়োজনীয় লোকবল, অভিযানের কৌশল নির্ধারনে উপজেলা মৎস কর্মকর্তার ব্যর্থতার কারনে কৌশল পাল্টে জেলেরা উপজেলার জয়ন্তী ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে মা ইলিশ নিধন করে চলছেন। সরকারি প্রণোদনা পেয়েও জেলেরা মাছ ধরায় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের মাঝে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে চাল দিচ্ছেন সরকার।
সরকারের এই নিয়ম উপেক্ষা করে উপজেলার জয়ন্তী ও আড়িয়ালখা নদীতে সহ¯্রাধিক নৌকায় জেলেরা মাছ নিধনে মেতে উঠেছেন। ইলিশ নিধনে পেশাজীবী জেলেদের সাথে যুক্ত হয়েছেন মৌসুমী জেলেরা। এসব লোকজন ইটের ভাটা, কৃষি কাজ, ঢাকায় বিভিন্ন কাজ করেন। ইলিশের প্রজণন মৌসুমে তারা পেশাজীবী জেলেদের সাথে যোগ দিয়ে মাছ ধরার উৎসব করেন।
কিছু জেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাছ ধরেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর দ্রুতগামী নৌকা (স্পিড বোট) ও ট্রলার নিয়ে অভিযান চালালেও জেলেরা তাদের ছোট নৌকায় অস্থায়ী ইঞ্জিন লাগিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। ষোলঘর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম জানান, ইলিশ ধরা, বিক্রয় ও পরিবহন করা নিষিদ্ধ, কিন্তু জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জয়ন্তী নদীতে মাছ ধরছেন। জেলেদের সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানান, অভিযানের ট্রলার চালকদের সাথে কতিপয় জেলে ও স্থানীয় নেতাদের আতাত রয়েছে। প্রশাসন কোথাও অভিযানে বের হলেই ট্রলার চালকরা মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তাই তারা সহজেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যেসব জেলেদের সাথে যোগাযোগ হয়না তাদের ২/১জন আটক হয়। এব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুভ্রত ঘোস্বামীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দিনরাত পরিশ্রম করে অসাধু জেলেদের মাছ আহরন থেকে বিরত রাখতে সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply